ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে পালাবদল চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার অন্যতম কেন্দ্র ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তাঁকে উদ্ধৃত করে ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ঢাবিতে মুসলিম ছাত্রীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘Jamuna News। ২৪ ঘণ্টাই খবর’ নামের ৭ লাখ ৭৮ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে শরীফ মুহাম্মদ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এমন পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটিতে আজ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে তিন শর কাছাকাছি।
তথ্যটি সত্য ধরে নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে একাধিক পোস্টে। এই দাবির একটি পোস্টে জান্নাতুল কাউসার মিশু নামে একজন লিখেছেন, ‘এটা একটা মুসলিম দেশ। তাই অবশ্যই শালীন পোশাক পরা আমাদের সবার উচিত। কিন্তু এখন যেভাবে অশালীন ড্রেস পরে মানুষ লাইভ করে, দেখলে মেয়ে হিসাবে নিজেও লজ্জা লাগে।’ শাহেদ সোলাইমান নামে একজন লিখেছেন, ‘মাশা আল্লাহ। যার যার ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সে যেন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে।’
আবার জয়নুল আবেদীন নামে একজন লিখেছেন, ‘ইসলাম কারো উপর জোর করে ধর্মকে চাপিয়ে দেয় না। তাই কেউ যেমন হিজাব জোর করে নিষেধ করতে পারে না, তেমন কেউ তা পরতে বাধ্য করতেও পারে না।’
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোনো কথা কি আমি বলতে পারি?’