ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস উদ্যাপন বা পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। আসিফ নজরুল ‘৩৬ জুলাইকে (৫ আগস্ট) বিজয় দিবস হিসেবে পালন’ করার কথা বলেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। ‘দুলাল মিয়া’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্যটি বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টিভির লোগোযুক্ত ফটোকার্ডে পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১ হাজার শেয়ার হয়েছে, রিঅ্যাকশন পড়েছে ৪৬ হাজার এবং কমেন্ট পড়েছে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। এসব কমেন্টে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী ফটোকার্ডটি সত্য ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ড. আসিফ নজরুল ৫ আগস্ট নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন কি?
যাচাইয়ে দেখা যায়, যমুনা টিভির কথিত ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে কোনো তারিখ উল্লেখ নেই। যমুনা টিভির ফটোকার্ডগুলোতে সাধারণত পোস্টের তারিখ উল্লেখ করা থাকে। যমুনা টিভির ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুঁজেও ৫ আগস্টকে বিজয় দিবস ঘোষণা নিয়ে আসিফ নজরুলের কথিত মন্তব্যটি নিয়ে কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চে অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমেও ৫ আগস্ট নিয়ে আসিফ নজরুলের এমন কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই আসিফ নজরুল এমন কোনো মন্তব্য করলে সেটি নিয়ে সংবাদ প্রচার হতো। এ ছাড়া যমুনা টিভিও নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে নিশ্চিত করেছে, সংবাদমাধ্যমটি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
এ থেকেই এটি স্পষ্ট যে ৫ আগস্টকে বিজয় দিবস ঘোষণা নিয়ে আসিফ নজরুলের ভাইরাল মন্তব্যটি ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৫ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ওই দিন ছুটি ঘোষণার পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে ৫ আগস্ট কী নামে উদ্যাপান করা হবে, সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।