ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, মন্দির, মাজারে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ফেসবুকে ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত ‘মাইজভাণ্ডার শরীফে উগ্র মৌলবাদের দল আগুন লাগিয়েছে’।
ভাইরাল ভিডিওটিতে এক বর্ণনাকারীকে বলতে শোনা যায়, ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। তীব্র আগুনে দুই তলা একটি বাড়ি পুড়ে যাচ্ছে। এ সময় ভেতরে একজন আগুনে পুড়ে মারা যান বলে দাবি করা হয় ভিডিওটিতে।
গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ‘সত্যবাদী ডট কম’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৬ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৩৭ হাজারের বেশি।
ভিডিওটি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘ফটিকছড়ি নিউজ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা সম্পর্কে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। চলতি বছরের ১৬ মে দেওয়া পোস্টটিতে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির মিল রয়েছে। ‘ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ে যুবকের মৃত্যু’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টটি থেকে জানা যায়, ওই দিন বিকেলে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের মাইজভাণ্ডার গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আলী হোসেন নামে এক যুবক মারা যান। তাঁর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের বারহাট্টা গ্রামে। কাজের সূত্রে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সে গ্রামে থাকতেন। চট্টগ্রামের স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সি ভয়েজ ২৪–এ একইদিন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
এসব থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার শরীফে অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং মাইজভাণ্ডার নামে একটি গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটি চার মাস আগের।