ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন’ দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তথ্য ভাইরাল হয়েছে। ‘এফকিউওবি’ নামের বলিউড ফ্যাশন-সম্পর্কিত একটি পেজ থেকে ৫ এপ্রিল দীপিকা পাড়ুকোনের কোলে একটি শিশুর ছবিসহ এমন তথ্য প্রচার করা হয়। পোস্টটিতে দাবি করা হয়, দীপিকা কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন, তাঁর স্বামী রণবীর সিং তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টটির কমেন্টবক্সে আপডেটজিল্লা (Updatezilla) নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনেও একই দাবি করে বলা হয়েছে, রণবীর সিং বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ওই পোস্টে রণবীর-দীপিকা জুটি তাঁদের নবজাতক সন্তানের ছবিও শেয়ার করেছেন। তবে রণবীর সিং তাঁর পোস্টটি কোন প্ল্যাটফর্মে কখন শেয়ার করেছেন এমন কোনো তথ্য প্রতিবেদনটিতে নেই।
প্রতিবেদনটিতে ‘পিআর বলিউড’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের লিংকও সূত্র হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলটিতে ৪ এপ্রিল ‘দীপিকা পাড়ুকোন কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন, নিশ্চিত করেছেন রণবীর সিং’ শিরোনামে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়েছে, ভিডিওটি বিভিন্ন ছবির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিস্তারিত ভিডিওটিতেও একই তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যেখানে দীপিকার কোলে ভিন্ন ভিন্ন শিশুর ছবি যুক্ত করে প্রচার করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি শিশুর ভিডিও অন্তত ২০২৩ সাল থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে।
আবার আরেকটি ছবি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে চিকিৎসা-সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, এক নারীর কোলে নবজাতক, পাশেই এক পুরুষ ঝুঁকে শিশুটিকে দেখছে। এই ছবি এডিট করে নারীর মাথার স্থলে দীপিকার মাথা এবং পুরুষটির মাথার স্থলে রণবীরের মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও ছবির এসব অসামঞ্জস্য ভিডিওটির সত্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ থেকে স্পষ্ট, দীপিকা ও রণবীর সিংয়ের কন্যা সন্তান জন্মের ভাইরাল তথ্যটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, ‘পিআর বলিউড’ ইউটিউব চ্যানেলটি থেকে এর আগেও বলিউড নায়িকাদের গর্ভধারণ নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান। যেমন—ভারতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক বলিউড অভিনেত্রী কাজল দেবগনের ‘বেবি বাম্প’-এর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে দেশটির ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান বুম লাইভ অনুসন্ধান শেষে জানায়, কাজল দেবগনের বেবি বাম্পের ভাইরাল ছবিগুলো এডিট করে তৈরি করা, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ভিত্তিহীন।