হোম > স্বাস্থ্য

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকিতে পাঁচ ধরনের মানুষ, অভয় দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কতটা সংক্রামক? আর সেই সংক্রমণ কতোটা মারাত্মক হতে পারে? এর উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘকালীন অনিয়ন্ত্রিত রোগ, ক্যানসার আক্রান্ত রোগী, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি প্রতিস্থাপন করা রোগী এবং স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকেন। সুস্থ–স্বাভাবিক মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারে কম বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবদুর রব মাসুম বলেন, চার/পাঁচ ধরনের মানুষ ছাড়া এই রোগ একদমই অন্য কারও কাছ থেকে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুস্থ মানুষের ভয়ের কারণ নেই। 

গত ২৮ জুলাই চট্টগ্রামে প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয় কোভিড থেকে সেরে ওঠা ষাটোর্ধ্ব এক নারীর। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে ঢাকায়ও কয়েকজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছিল। 

প্রথমবারের মতো পাওয়া এই রোগী বর্তমানে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। অধ্যাপক অনিরুদ্ধ বলেন, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আগেও ছিল। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর দেশে কয়েকজনের শরীরে রোগটি ধরা পড়ায় আলোচনা হচ্ছে। মূলত যাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তাঁদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। 

চিকিৎসকেরা এ ছত্রাক থেকে বাঁচতে কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখা; হাসপাতালের আইসিইউয়ের মেশিনারি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা; মাটির সংস্পর্শ বা ধুলোবালি যুক্ত স্থান এড়িয়ে চলা; করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা; রোগীর স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানী হওয়া এবং কোভিড পরবর্তী রোগীদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো দরকার বলে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আবদুর রব মাসুম। 

চট্টগ্রামের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীটি পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। কিন্তু চার দিন ধরে খুঁজেও চট্টগ্রামের কোথাও এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এমপোটেরিসিন–বি নামের ইনজেকশনটি পায়নি রোগীর পরিবার। তবে আজ শুক্রবার ইনজেকশনটি পেয়েছেন বলে জানান রোগীর ছেলে মো. হেলাল হোসাইন। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ওষধুটি আনাচ্ছি। শনিবার থেকে প্রয়োগ শুরু হবে। 

রোগটি বিরল হওয়ায় হাসপাতালের মেডিসিন কর্নার এবং ফার্মেসিগুলোতে সাধারণত এই ইনজেকশন রাখা হয় না জানান অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ। 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, চমেকে পোস্ট কোভিড কমপ্লিকেশন জোন চালু করেছি অনেক আগে। এখান থেকে প্রায় ২০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীটিও কোভিড পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। এখানেই রোগটি শনাক্ত হয়। 

তিনি বলেন, এই রোগ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ওষধুটি পর্যাপ্ত পরিমানে পেলে এই রোগের চিকিৎসা দিতে ডাক্তাররা প্রস্তুত আছেন।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: নবজাতককে বাড়িতে রেখে চিকিৎসায় সুবিধা বেশি

দুঃসহ স্মৃতি ভুলে যাওয়ার কৌশল আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

ব্যথার ওষুধের বিকল্প ভাবা হয় লবঙ্গকে

গর্ভাবস্থায় মেথি খাওয়া যায়

কাঁধ নাড়াচাড়া করতে না পারলে

শীতকালে পানিশূন্যতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং প্রতিকার

চোখের সমস্যা থেকে মাথাব্যথা হতে পারে

নিয়মিত চা পানকারীরা কেন দীর্ঘায়ু হন, জানালেন বিজ্ঞানীরা

এইচএমপিভিতে মহামারির আশঙ্কা কম, অভিমত বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের

দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত একমাত্র রোগীর মৃত্যু

সেকশন