অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের ক্ষেত্রে ওষুধ দিয়ে উপসর্গ সম্পূর্ণরূপে কমানো সম্ভব হয় না। অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে হলে এর কারণ জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- যাঁদের নাকের অ্যালার্জি সর্দিজনিত সমস্যা আছে, তাঁরা ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম খাবেন না। ঠান্ডা না লাগানোর চেষ্টা করবেন।
- ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জির সমস্যায় প্রয়োজনে কুসুম গরম পানিতে গোসল, অজুসহ অন্যান্য কাজ করুন।
- ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ধুলাবালুময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক ধুলা এবং ধোঁয়াসহ বিভিন্ন অ্যালার্জি তৈরির উপাদান থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে।
- পুরো বছর হাঁচি ও সর্দির সমস্যায় দিনে অন্তত একবার গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টেনে মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এ ছাড়া স্যালাইন বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইডসমৃদ্ধ নাকের ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন। এগুলো নাকে থাকা অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা দীর্ঘ সময় টানা এসির মধ্যে থাকবেন না।
- নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার খাওয়া বাদ দিন। সাধারণত ভাবা হয় গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বেগুন, হাঁসের ডিম, বোয়াল মাছ, ডাল—এসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়। তবে এ কথা সবার ক্ষেত্রে সঠিক নয়। ব্যক্তিবিশেষে নির্দিষ্ট খাবারে অ্যালার্জির সমস্যা থাকতে পারে।
- যাঁরা ডাস্ট অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
- ঘরের চারপাশ খোলামেলা রাখুন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
যাঁর যে জিনিস থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে, সেই জিনিস ব্যবহার ও খাওয়া বাদ দিন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো দীর্ঘ মেয়াদে অ্যালার্জির ওষুধ সেবন বা প্রয়োগ এবং নিরাপদ অ্যালার্জির ভ্যাকসিন নিন। এতে এর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকটাই সম্ভব হবে।
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, এফসিপিএস (ইএনটি), নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল