অনলাইন ডেস্ক
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ দেশটির বিচার বিভাগ ভেঙে দিয়েছেন। আজ রোববার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে বামপন্থী কর্মীদের হত্যাসহ রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল তদন্তে বিলম্ব করার জন্য বিচার বিভাগের সদস্যরা কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন-এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বিচার বিভাগ ভেঙে দিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
কয়েক মাস ধরে তিউনিসিয়ার বিচারকদের বিরুদ্ধে দেশটিতে তীব্র সমালোচনা চলছে। গত মাসে প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ শীর্ষ বিচারিক পরিষদের সদস্যদের সকল আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করেছেন। এই বিচার বিভাগ ২০১৬ সালে গঠন করা হয়েছিল। তখন বিচারদের ওপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, বিচারকদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা এবং তাদের পেশাগত পদোন্নতি প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় কাইস সাইয়েদ বলেন, ‘এই বিচার বিভাগে আনুগত্য অনুযায়ী পদ ও নিয়োগ বিক্রি করা হতো। তাঁরা এখন যে চেয়ারে বসে আছেন, সেই চেয়ারে বসার যোগ্য নন তাঁরা। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, কতিপয় বিচারক এসব অপকর্ম করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছেন।’
গত মাসে সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ। তাঁর এ ঘোষণা এক দশকের পুরনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল জনতা। তখন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ জলকামান ছুঁড়েছিল এবং বিক্ষোভকারীদেরকে ব্যাপক লাঠিপেটা করেছিল।