অনলাইন ডেস্ক
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি বিমানবন্দরের দায়িত্বভার গ্রহণের তোড়জোড় চালাচ্ছে ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি। তবে দেশটির শ্রমিক ইউনিয়ন আদানির এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছে। এই অবস্থায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, কেনিয়ায় এই আদানিবিরোধী বিক্ষোভ ভারতবিরোধিতায় রূপ নিতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আদানির নাইরোবি বিমানবন্দর অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আর এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানির বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে সরকারকে সতর্ক করেছেন।
এক বিবৃতিতে জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘এটি ভারতের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। কারণ আদানির সঙ্গে অজৈবিক প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদির) বন্ধুত্ব এখন বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তাই এই প্রতিবাদ সহজেই ভারত এবং ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে রূপান্তরিত হতে পারে।’
জয়রাম রমেশ বিবৃতিতে আরও বলেছেন, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে আদানি প্রকল্পগুলো নিয়ে একই ধরনের বিতর্ক আমাদের জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং ভারতের জন্য নেতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। উদাহরণস্বরূপ, ঝাড়খন্ডে আদানির কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিণত হয়েছিল।
কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার মান্নার জেলায় আদানি গ্রুপের পুনর্নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোও বিতর্ক উসকে দিয়েছিল। এর কারণে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভও শুরু হয়েছিল।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে, ভারতের সফট পাওয়ার তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম শক্তি। আজ, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যোগসাজশ এই শক্তিকে কমাতে এবং বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের জন্য নজিরবিহীন পরিবর্তনে অবদান রেখেছে। অ-জৈবিক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বন্ধুত্বের কারণে দেশকে যেসব ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তার মধ্যে এটি একটি।’