অনলাইন ডেস্ক
মণিপুরে একটি গ্রামের মালিকানা দাবি করে নাগা ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে গতকাল শনিবার থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহেশ চৌধুরী।
ইম্ফলের কর্মকর্তারা জানান, কাংপোকপির কাংচুপ গেলজাং এলাকায় তিন-চার দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাগাপ্রধান কংসাখুল গ্রাম ও কুকি-জো অধ্যুষিত লেইলন ভৈফাই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে একটি ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ শুরুর পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কংসাখুল গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করছেন, লেইলন ভৈফাই গ্রাম তাদের এলাকা। এই দাবির তীব্রভাবে বিরোধিতা করেছেন লেইলন ভৈফাই গ্রামের বাসিন্দারা।
এই বিরোধের মধ্যে, গত ৭ জানুয়ারি নাগা সম্প্রদায়ের এক নারীর ওপর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হামলার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কংসাখুল ও লেইলন ভৈফাই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে সংঘর্ষে কোনো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
উত্তেজনা বাড়তে থাকলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহেশ চৌধুরী ওই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুই গ্রামের সীমানার আশপাশের এলাকায় লোকজনের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল শনিবার কামজং জেলায় আসাম রাইফেলসের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প ধ্বংস করেছে স্থানীয় একদল জনতা। ঘর নির্মাণের জন্য কাঠ পরিবহনে বাধা এবং হয়রানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালায় তারা। আসাম রাইফেলসের সদস্যরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং আকাশে গুলি চালায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কাসোম খুলেন গ্রামে ঘর নির্মাণের জন্য কাঠ পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করে আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা। তারপর এ সমস্যার শুরু হয়।
গত বছরের শুরু থেকে মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রয়েছে মণিপুর। উত্তেজনা মাঝে কিছুটা ঝিমিয়ে এলেও গত সেপ্টেম্বরে আবারও নতুন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। যে কারণে ওই অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। এর মধ্যে এখন নতুন করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে নাগা ও কুকি-জো সম্প্রদায়।