অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক টুইটারের শেয়ার কেনার বিষয়ে সময়মতো তথ্য প্রকাশ করেননি এবং পরে ‘কৃত্রিমভাবে কম দামে’ শেয়ার কিনে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসির এক ফেডারেল আদালতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মাস্ক ৫ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি যথাসময়ে প্রকাশ না করায় অন্তত ১৫০ মিলিয়ন ডলার কম দামে শেয়ার কিনতে পেরেছেন।
মাস্ক ২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে সেটির নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ রাখেন। এর আগে তিনি ৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছিলেন। আইন অনুসারে, এই ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণকে জানানো বাধ্যতামূলক। এসইসি দাবি করেছে, মাস্ক ১১ দিন পর এটি প্রকাশ করেন, যা নির্ধারিত সময়ের অনেক পর।
মাস্কের আইনজীবী অ্যালেক্স স্পাইরো এক ই-মেইল বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এসইসির মামলা দেখিয়ে দিচ্ছে যে, তাদের কোনো মজবুত ভিত্তি নেই।’ তিনি বলেন, ‘মাস্ক কোনো ভুল করেননি, আর সবাই এই মামলাকে প্রহসন হিসেবেই দেখছে।’
এসইসি এর আগেও মাস্কের টুইটার কেনার বিষয়ে তদন্ত করেছিল। ২০২১ সালে মাস্ক ও তাঁর ভাই কিমবাল মাস্কের বিরুদ্ধে টেসলার শেয়ার বিক্রির সময় তথাকথিত অভ্যন্তরীণ লেনদেনের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। ইলন মাস্ক টেসলার সিইও এবং তাঁর ভাই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন। স্পাইরো আরও বলেন, ‘এসইসির অভিযোগ শুধু একটি ফরম জমা না দেওয়া নিয়ে।’ তাঁর মতে, ‘মাস্কের বিরুদ্ধে এসইসির বছরের পর বছর ধরে চলা হয়রানির ফল এটি।’
ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনর প্রচারে কয়েক মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি মাস্ককে একটি পরামর্শক দলের প্রধান করবেন। এই বিভাগের নাম হবে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি।’
এসইসির অভিযোগে বলা হয়েছে, টুইটারে নিজের মালিকানার তথ্য প্রকাশের আগে মাস্ক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের শেয়ার কেনেন এবং অসতর্ক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কৃত্রিমভাবে কম দামে শেয়ার কিনতে সক্ষম হন। পরে মালিকানা প্রকাশের ১১ দিন পর তিনি জানান, টুইটারের ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার তিনি কিনেছেন। এসইসির অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ওই দিন টুইটারের শেয়ারের মূল্য আগের দিনের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পায়।