হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

মিসর-ইসরায়েল ছাড়া আর কাউকেই সহায়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আর কোনো দেশকেই সহায়তা দেবে না। তবে জরুরি খাদ্যসহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক অর্থায়নকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে আসা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মেমোতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি মেমো পাঠান তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে। যেখানে বলা হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অধীনে বিদেশি সহায়তায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এতে বলা হয়, ‘কোনো নতুন তহবিল অনুমোদন বা আগের তহবিল নবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রস্তাব পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পরেই তা কার্যকর হবে।’

এই আদেশের ফলে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সাহায্য পর্যন্ত সবকিছুই প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জো বাইডেন প্রশাসন থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহায়তা পেলেও এবার তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

একই সঙ্গে এই নির্দেশনা অন্তত কয়েক মাসের জন্য মার্কিন সহায়তায় পরিচালিত পিইপিএফএআর কর্মসূচি বন্ধ রাখারও ইঙ্গিত দেয়। পিইপিএফএআর হলো এইচআইভি/এইডসবিরোধী কর্মসূচি, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে, আফ্রিকার দেশগুলোর রোগীদের জন্য অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ সরবরাহ করে। ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে চালু হওয়া এই কর্মসূচি প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

তবে ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক সহায়তাকে মার্কো রুবিও নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। গাজার যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আরও বড় সামরিক প্যাকেজ দিচ্ছে। মিসর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা তহবিল পেয়ে আসছে। রুবিও জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য আলাদা ঘোষণা দিয়েছেন। সুদান ও সিরিয়ার মতো সংকটাপন্ন এলাকাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা দিয়ে আসছে।

ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরেই বৈদেশিক সাহায্যকে তার পররাষ্ট্রনীতির একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়, যা চীনের থেকে আলাদা। কারণ, চীন সাধারণত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের দিকে বেশি মনোযোগী। ৮৫ দিনের মধ্যে সব বৈদেশিক সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই স্থগিতাদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে রুবিও বলেছেন, নতুন প্রশাসনের পক্ষে এটি মূল্যায়ন করা সম্ভব নয় যে, আগের প্রতিশ্রুতিগুলো কার্যকর কি না, কিংবা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না। একই সঙ্গে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা যাচাই করাও দ্রুত সম্ভব নয়।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ডলারের হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ দাতা দেশ। তবে ইউরোপের কিছু দেশ, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো, তাদের অর্থনীতির আকারের আনুপাতিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি দেয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৬৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করেন। তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা তখনই স্পষ্ট ছিল না। দারিদ্র্যবিরোধী সংগঠন অক্সফাম বলেছে, ট্রাম্প বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঐকমত্য থেকে সরে আসছেন।

উড়োজাহাজের ৬৪ আরোহী ও হেলিকপ্টারের ৩ সেনা নিখোঁজ

যুক্তরাষ্ট্রে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টার-উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের শঙ্কা

ছোটবেলার প্রেমিকাকে ফিরে পেতে মরিয়া এনজো ফার্নান্দেজ!

ট্রাম্প আতঙ্কে যুক্তরাজ্যে সোনার সংকট

ঘাঁটি বুঝে নিতে আসাদকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়াকে সিরিয়ার প্রস্তাব

যে যুক্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে বোরকা নিষিদ্ধের দাবি বিজেপি নেতার

দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্ত, চীনা ও ভারতীয় সহ নিহত ২০

কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০, প্রকৃত সংখ্যাটি এখনো ‘অনিশ্চিত’

সোনালি আভা ছড়িয়ে মরুভূমির বুক চিরে যাবে পাঁচ তারকা ট্রেন

চাকরি ছাড়াতে ৮ মাসের বেতনের লোভ দেখাচ্ছেন ট্রাম্প

সেকশন