অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিলেও তা ভেটোর কারণে বাতিল হয়। এ ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে জাতিসংঘে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা।
ভেটো কী
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র। এর মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এই ভেটো ক্ষমতা কী? ভেটো অর্থ হচ্ছে- প্রত্যাখ্যান করা বা বাতিল করার ক্ষমতা।
সাধারণত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের বিশেষ ক্ষমতাই ভেটো পাওয়ার হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের কোনো মৌলিক প্রস্তাবে ভেটো বা না বলার অধিকার রয়েছে। তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে ভেটো দেওয়ার নিয়ম নেই।
ভেটো ক্ষমতার উৎপত্তি
জাতিসংঘের সনদের ২৭ নং অনুচ্ছেদে ভেটো ক্ষমতার কথা উল্লেখ আছে। সনদ অনুযায়ী-
জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী ভেটো ক্ষমতাকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হিসেবে ধরা হয়। সনদের ২৭ (৩) অনুচ্ছেদ দ্বারা ভেটো ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
১৯৪৫ সালে আন্তর্জাতিক সংস্থার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভেটো ক্ষমতার ধারণা আনকোরা নতুন ছিল না। তখন লিগ অব নেশনসের পদ্ধতিগত ইস্যুর বাইরে অন্যান্য বিষয়ে সব সদস্য রাষ্ট্রেরই ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। ১৯৩৬ সাল নাগাদ, লিগ কাউন্সিল চারটি স্থায়ী সদস্য এবং এগারোটি অস্থায়ী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১৫টি দেশকে ভেটো ক্ষমতা দেওয়া হয়।
অনেক সমালোচকই ভেটো ক্ষমতাকে অগণতান্ত্রিক এবং যুদ্ধের অনুঘটক হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে, সমর্থকরা ভেটো ক্ষমতাকে দেখেন বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার হাতিয়ার হিসেবে। অনেকে যুক্তি দেন, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য এড়ানোর জন্য এটি একটি কার্যকর উপায়।