অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলে বিপাকে পড়বেন দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা। শিগগির বড় ধরনের অভিযানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন তাঁরা। ৪৭ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামীকাল সোমবার শপথ নেবেন অভিবাসীবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পরদিন মঙ্গলবার দেশজুড়ে গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করবে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনী প্রচারেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসে পালাবদলের পরদিন থেকে শিকাগোতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সীমান্ত জার’ টম হোম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিল ফক্স নিউজ। এর জবাবে তিনি বলেন, সারা দেশে বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে। শিকাগো এর বাইরে নয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সীমান্তে অভিবাসী মা-বাবা ও শিশুদের পৃথক করার নীতি তদারক করেছিলেন টম হোম্যান। ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) তাদের কাজ শুরু করবে। তাদের ওপর থেকে আমরা বিধিনিষেধের হাতকড়া সরিয় নেব এবং “ক্রিমিনাল অ্যালিয়েনদের” গ্রেপ্তারে সংস্থাটির ওপর আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।’
টম হোম্যান বলেন, অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোরভাবে অভিবাসন আইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেকোনো হুমকির বিষয়ে জোর দিতে হবে। অবৈধভাবে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে চাইলে, সেটি তাদের সমস্যা। কেউই আইনের বাইরে নয়।
সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন শিকাগোতে বড় ধরনের অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরু হবে। সপ্তাহজুড়ে চলবে এই অভিযান। অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থার ১০০ থেকে ২০০ কর্মকর্তা এটি তদারক করবেন। শিকাগো পুলিশের মুখপাত্র ডন টেরি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর বিভাগ অন্য কোনো সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে হস্তক্ষেপ করবে না।
আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম। গত শুক্রবার তিনি দেশের দক্ষিণ সীমান্তের দুর্বলতাকে যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সীমান্ত সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন ক্রিস্টি নোয়েম। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। কারণ, আমরা একমত যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে দক্ষিণ সীমান্ত।’
এদিকে ট্রাম্পের অভিষেকের আগে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গত নভেম্বরে ই-মেইলের মাধ্যমে তাঁদের এ পরামর্শ দেওয়া হয়।