অনলাইন ডেস্ক
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পরই দখলিকৃত ইউক্রেনীয় শহর মারিউপোলে আকস্মিক সফর করলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার নির্বিচার বোমা হামলায় ইউক্রেনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গতকাল শনিবার রাতে মারিউপোল শহরে পুতিনের পরিদর্শনের দীর্ঘ ফুটেজ দেখানো হয়েছে। তিনি সেখানে পুনর্বাসিত বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিনের পুনর্গঠন প্রচেষ্টা সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
বন্দর নগরী মারিউপোল ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। শহরটির অধিকাংশ প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেন বাহিনী প্রাণপণ লড়াই করেও শহরটির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি।
গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে বাস্তুচ্যুত করার কারণে পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। এরপর দিনই ইউক্রেন সফর স্পষ্টতই পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি পুতিনের বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শনের ইঙ্গিত। অবশ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই ক্রেমলিন এই আদেশকে ‘টয়লেট পেপার’ বলে অভিহিত করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পদক্ষেপের বিষয়ে পুতিন এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, এটি আইনত ‘অকার্যকর’ এবং রাশিয়া আইসিসি কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্নগুলোকে ‘আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মনে করে।
গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের দখলিকৃত অংশে এটিই পুতিনের প্রথম সফর। মারিউপোলে রুশ প্রেসিডেন্টের চলাফেরাই স্পষ্ট করে দেয় সেটি এখন রাশিয়ার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে যুদ্ধক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু পুরো একটা বছর পুতিন মূলত ক্রেমলিনের ভেতরেই অবস্থান করেছেন।