অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা দুজন আহত উত্তর কোরিয়ান সৈন্যকে বন্দী করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল শনিবার টেলিগ্রাম ও এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলেনস্কি জানান, ওই দুই সৈন্য বর্তমানে ‘প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা’ পাচ্ছেন এবং কিয়েভে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার (এসবিইউ) হেফাজতে আছে। উত্তর কোরিয়ান সৈন্যকে বন্দী করতে সক্ষম হওয়ায় তিনি ইউক্রেনের প্যারাট্রুপার এবং স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের সৈন্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেলেনস্কি বলেন, এটি সহজ কাজ ছিল না।
জেলেনস্কি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের কেউ আহত হলে রুশ ও কোরিয়ান বাহিনী তাদের মেরে ফেলে, যাতে ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মুছে ফেলা যায়’।
টেলিগ্রাম ও এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি জানান, বর্তমানে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার তদন্তকারীরা বন্দী সৈন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তিনি নিরাপত্তা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, সাংবাদিকেরাও দুই বন্দীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
জেলেনস্কি বলেন, বিশ্বের সত্য জানা উচিত, ইউক্রেনে কী ঘটছে।
জেলেনস্কি আহত দুই সৈন্যের ছবিও প্রকাশ করেছেন। তবে তারা যে উত্তর কোরিয়ান সৈন্য, এর কোনো প্রমাণ দেননি। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, মঙ্গোলিয়া সীমান্তবর্তী রাশিয়ার তাইভা অঞ্চলের ২৬ বছর বয়সী এক যুবককে রুশ সেনাবাহিনীর একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ান যোদ্ধাদের ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে তাঁদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করছে।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থনকারী প্রথম বন্দী উত্তর কোরিয়ান সৈন্য আহত অবস্থায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর মারা যায়। এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।