অনলাইন ডেস্ক
ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাঠে এক ১৭ বছর বয়সী কিশোর আত্মহত্যা করেছে। তার রয়্যাল অ্যানফিল্ড বুলেট মোটরসাইকেলটি পরিবারের সদস্যদের বিক্রি করে দেওয়ার পর সে আত্মহত্যা করেছে।
পরিবারের সদস্যরা তার মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছিল যাতে সে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি বন্ধ করে পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিশোর নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোর আত্মহত্যার আগে গুগলে ‘মৃত্যুর পর একজন মানুষের কী হয়?’ এমন প্রশ্ন সার্চ করেছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ জানুয়ারি। সেদিন কিশোরের বড় ভাই মিরাঠ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে মাকে আনতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তাঁরা ভেতর থেকে গোঙানোর আওয়াজ শুনতে পান।
মা ও বড় ভাই জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখেন, মেঝে রক্তে ভেসে গেছে। কিশোর রক্তের মধ্যে গড়াগড়ি করছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরের মা মিরাঠ মেডিকেল কলেজের নার্স। বড় ভাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের বাবা গত বছর মারা গেছেন। কিশোর প্রায়ই বাইক চালিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেত। পড়াশোনায় তা মন ছিল না। এ কারণে পরিবারের লোকজন প্রায় তাকে বকাঝকা করতেন।
পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, বাইক বিক্রি করে দিলে সে পড়াশোনায় মনোযোগ দেবে। কিন্তু এতে সে এতটাই ক্ষুব্ধ হয় যে, আত্মহত্যা করে।
পরিবার থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পয়েন্ট ৩১৫ বোরের দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে কিশোর বন্দুকটি কীভাবে পেল।