অনলাইন ডেস্ক
আবায়া নিষিদ্ধ হওয়ার পর জাপানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কিমোনো পরে ফ্রান্সের লিয়নের এক স্কুলে গিয়েছিলেন এক মুসলিম ছাত্রী। কিন্তু লম্বা কোট বা ধর্মীয় প্রকৃতির পোশাক স্কুলের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে ।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছর বয়সী ওই ছাত্রী গতকাল বুধবার স্কুলে প্রবেশের পর তাকে তলব করে পোশাক পরিবর্তন না করা পর্যন্ত ক্লাসে ফিরতে বারন করা হয়।
তবে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের দাবি, ওই ছাত্রীর পোশাক ধর্মীয় প্রতীক বহন করে না। জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, নিয়মের আওতায় শুধু আবায়া নয়, ধর্মীয় প্রতীকবাহী যে কোনো পোশাক পড়বে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘একজন ছাত্রী সকালে মুখ ঢেকে এলে দেখি যে তার সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ আছে কিনা।’
আনাদোলু বলছে, ওই হাইস্কুলের আরেক ছাত্রীকেও কিমোনো পরার কারণে ফেরত পাঠানো হয়।
ওই ছাত্রীর পরিবারের আইনজীবী মাইত্রি নাবিল বৌদি বলেন, ‘ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য’ সৃষ্টির দায়ে তিনি স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার দ্রুত বিচার করতে হবে। কারণ, স্কুলের এই নতুন নিয়মের কারণে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা অপমানিত বোধ করছেন।
ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষের অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কথা বলে কিমোনো পরে ক্লাসে না যেতে দেওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী পাল্টা বলেন, এটা খোলা পোশাক, আবায়া নয়। তবে অধ্যক্ষ বলেন, এ ধরনের পোশাক নিয়ে তিনি ক্লাসে প্রবেশের অনুমতি দেবেন না।