অনলাইন ডেস্ক
১৯৭১ সালের পর মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং কর কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর পাউন্ডের মান কমতে থাকে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর কমে ১ দশমিক ০৩২৭ ডলার দাঁড়ায়।
বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানো অব্যাহত থাকায় ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাউন্ডও চাপে পড়েছে।
দ্য ইউএস ডলার ইনডেক্স অনুযায়ী, গত ২০ বছরের মধ্যে ডলারের মান এখন সবচেয়ে বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এ মুহূর্তে ডলারের সাপেক্ষে অন্যান্য মুদ্রার দামের পতনের বহুবিধ কারণ থাকলেও প্রধান কারণ দুটি। এক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পেট্রোলিয়াম থেকে রকমারি পণ্য—সবকিছুরই দাম বেড়েছে। দুই, যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদহার বৃদ্ধি।
বিনিয়োগ সংস্থা ওয়েলথির সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার এসকো বলেছেন, সকল মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তাই মার্কিন ডলারের শক্তির একটি বড় উপাদান রয়েছে ৷ নতুন সরকার কর কমিয়ে দেওয়ায় পাউন্ডের মান কমেছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
গত সপ্তাহে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডসহ অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করার সময় সুদের হার বাড়ানোর পরে বিশ্ব বাজারগুলি ভেঙে পড়ে।
ডলারের বিপরীতে পাউন্ড এই নিম্ন পর্যায়ে থাকলে তেল ও গ্যাসসহ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি আরও ব্যয়বহুল হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যান্য পণ্যগুলিও যথেষ্ট বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে।
আর্থিক বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাউন্ডের গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ৷