অনলাইন ডেস্ক
কিশোর বয়সে ইরাকের ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়া শামীমা বেগমের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও যুক্তরাজ্যের আইনে এ আবেদন গৃহীত হওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ ছিল।
এ রায়ের বিষয়ে বিচারপতি জে বিবিসিকে বলেন, আধা-গোপন আদালতে এ আপিল সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শামীমার আইনজীবিরা বলেছেন, মামলাটি এখানেই শেষ নয়, এ রায় উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে।
এই রায়ের ফলে ২৩ বছর বয়সী শামীমা আর যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না এবং তাঁকে উত্তর সিরিয়ার একটি শিবিরে অবরুদ্ধ জীবন–যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে যখন ব্রিটেন ছেড়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। সিরিয়ায় আসার পর তিনি ইসলামিক স্টেটের ডাচ সদস্য ইয়াগো রিয়েডিকে বিয়ে করেন। সেখানে তাঁর তিনটি সন্তান হয়, যাদের সবাই মারা গেছে। এরপর তাঁর স্বামীও একটি কুর্দি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা যায়।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন। এরপর থেকই তিনি উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীর প্রহরাধীন একটি শিবিরে বাস করছেন।
শামীমা বেগম যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে মন্ত্রীদের পরামর্শ পাওয়ার পর স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশন এ রায় দিয়েছে। যদিও শামীমার আইনজীবীরা জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন, কিশোর শামীমা কীভাবে বয়স পাচারের শিকার ছিলেন।