অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশটির জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন লিজ ট্রাস। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার তিনি জানান, দেশটির নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের বোঝা কমাতেই জ্বালানি বিল স্থগিত করা হতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনাটিকে ব্রিটেনের জন্য অন্যতম সাহসী পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনাটির আর্থিক আকার নিয়ে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
ব্রিটেন তার জ্বালানি ও শক্তির উৎস হিসেবে অনেকাংশে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া ওই ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে তীব্র জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এবং এই সংকটের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন ট্রাস।
ট্রাস বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে গ্যাসকে রাশিয়া অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কারণেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী শীত ও বসন্ত কীভাবে কাটবে এই বিষয়ে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। আমরা তাদের সহায়তার জন্যই তাৎক্ষণিকভাবে বিল স্থগিতের পদক্ষেপ নেব।’
এ সময় ট্রাস রাশিয়াকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘আমরা এসব সংকটের মূল কারণকে দমাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব, যাতে নতুন করে আর এসব সমস্যার উদ্ভব না হতে পারে।’
তবে ট্রাসের বিল স্থগিতের পদক্ষেপকে ব্যয়বহুল বলেছেন অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটালের অর্থনীতিবিদ নিল শিয়ারিং। তাঁর মতে, ‘এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থার উন্নতি নাও হতে পারে। বরং আগামী অক্টোবরে ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১১ শতাংশ বাড়তে পারে।’ তবে নিলের দাবির বিপরীতে সরকারের প্রাক্কলন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি দশমিক ৫ থেকে দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসতে পারে।