অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। চরমপন্থার অভিযোগ এনে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন দেশটির একটি আদালত। রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউলিয়া নাভালনায়া এখন রাশিয়ার বাইরে অবস্থান করছেন। রুশ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি চরমপন্থী সংগঠনে যোগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের আবেদন আমলে নিয়ে ইউলিয়াকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রুশ আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নাভালনির স্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে ইউলিয়া বলেছেন, ‘আপনি যখন এ বিষয়ে লিখবেন, দয়া করে মূল জিনিসটি লিখতে ভুলবেন না—ভ্লাদিমির পুতিন একজন খুনি ও যুদ্ধাপরাধী। তাঁর জায়গা হওয়া উচিত কারাগারে, অন্য কোথাও নয়।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনি। তিনি ২০২১ সাল থেকে কারাবন্দী ছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্টে নাভালনিকে উসকানি, অর্থায়ন ও একটি উগ্রপন্থী সংগঠন প্রতিষ্ঠার অভিযোগে নতুন করে ১৯ বছরের জেল দেওয়া হয়। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁকে সাইবেরিয়ার একটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
মৃত্যুর প্রায় চার বছর আগে ২০২০ সালে নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেবার জার্মানিতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যান তিনি। নাভালনির মৃত্যুর খবর সামনে আসার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘কোনো ভুল নেই। নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী।’ তবে পশ্চিমা নেতাদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ক্রেমলিন। অন্যদিকে নাভালনির মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন পুতিন।
নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গত শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি তদন্তে।