অনলাইন ডেস্ক
ভারতে বিজেপিবিরোধী জোট গঠন করেছে দুই ডজনেরও বেশি বিরোধী রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া—আইএনডিআইএ’ বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। আল জাজিরা এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৪ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বসহ প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। মামলার অভিযোগে নাকাল বিরোধী দলগুলো। এর বাইরে জোটের নেতৃত্ব কে দেবে এমন ইস্যু নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলাপ আলোচনা চললেও তারা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছিল না। অবশেষে দলগুলো একই ছাতার নিচে আসতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে হঠাতে এককাট্টা তারা।
আজ মঙ্গলবার টানা দুই দিনের বৈঠক শেষে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বেঙ্গালুরুতে ২৬টি দল এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের ঘোষণা দেয়। কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নতুন জোটের নাম হবে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স বা ইন্ডিয়া।’
জোট গঠনের পর আশাবাদ ব্যক্ত করে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এক টুইটে বলেন, ‘ভারত আবারও ঐক্যবদ্ধ হবে, ভারত আবারও জিতবে।’ রাহুল গান্ধী হিন্দিতে এই টুইট করেন।
আগামী বছরের এপ্রিল এবং মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই ভারতে চলছে জোট গঠনের খেলা। পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ-ও। জোটটি এদিন দিল্লিতে বৈঠক করে। তবে বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ইন্ডিয়া জোটের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছ, কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স বা ইউপিএ গঠিত হয়েছিল তার প্রধান ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এবার ইন্ডিয়া জোটেরও প্রধান বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিই থাকতে পারেন। তার সঙ্গে জোট চালিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার।
বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জোটের দুটি উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। এর একটি হলো, জোটের সাধারণ কর্মসূচি পালন এবং জোটের মধ্যে যোগাযোগসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখবে এবং অপর কমিটি মূলত বিজেপিবিরোধী যৌথ কর্মসূচিগুলোর দেখভাল করবে।
বৈঠকে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও সোনিয়া গান্ধী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের আরজেডি দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও শারদ পাওয়ার উপস্থিত হতে পারেননি।