হোম > বিশ্ব > ভারত

চন্দ্রযান-৩ অভিযানের নেপথ্যের নায়ক যাঁরা 

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদের বুকে নিরাপদে নেমেছে। চার বছর ধরে এই ৭০০ কোটি রুপি ব্যয়ের অভিযানে নিরলসভাবে কাজ করছেন ১ হাজারেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীরা। ভারতের এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই অভিযানের নেপথ্যে নায়কদের সম্পর্কে জানা যায়। 

এস সোমনাথ 
এস সোমনাথ ভারতের মহাকাশ সংস্থার (ইসরো) প্রধান। সংস্থাটির প্রধান হওয়ায় চন্দ্রযান-৩ উড্ডয়নের আগে পুরো যানটির পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদের কক্ষপথে নিক্ষেপের জন্য ‘দ্য লঞ্চ ভেহিক্যাল মার্ক ৩’ (বাহুবলি) রকেটের তিনিই নকশা করেন। 

তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে পারেন। সংস্কৃত ভাষায় তৈরি ‘ইয়ানাম’ সিনেমায় অভিনয় করেন। তাঁর নামের অর্থ হল’ চাঁদের প্রভু’। 

সোমনাথ ভারতের রকেট গবেষণার প্রধান। তাঁর নেতৃত্বে ভারত মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে। তিনি ভারতের ‘হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার’-এর প্রধান পরিচালক। গঙ্গানাম প্রোগ্রামের বিভিন্ন জটিল অভিযানে তিনি নেতৃত্ব দেন। তাঁর জন্য মার্ক-৩-এর সাফল্য এক শ ভাগ সফল হয়। 

উইরামুথুভেল
উইরামুথুভেল চন্দ্রযান-৩-এর প্রকল্প পরিচালক। বলা হচ্ছে, ভারতের চাঁদের অভিযান নিয়েই তাঁর পুরো জীবন আবর্তিত। তিনি চেন্নাইতে প্রযুক্তির ওপর মাস্টার্স করেন। চন্দ্রযান-২ ও মঙ্গলায়ন অভিযানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে ল্যান্ডার বিক্রমের অভিযান বিফল হয়। সেই ঘটনা থেকে তাঁর অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। যা তিনি চন্দ্রযান-৩ অভিযানে কাজে লাগাচ্ছেন। 
 
কল্পনা কে 
কল্পনা কে করোনা মহামারিতেও কাজ করে গেছেন। তিনি ভারতের স্যাটেলাইটের উন্নয়নে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনিও চন্দ্রযান-২ ও মঙ্গলায়ন অভিযানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। 

এম ভানিথা 
এম ভানিথা চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। তিনি একজন ইলেকট্রনিকস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ভারতের প্রথম নারী; যিনি চাঁদের অভিযানকে নেতৃত্ব দেন। 

তাঁর আগের অভিযানের অভিজ্ঞতা চন্দ্রযান-৩ অভিযানকে সফল করতে সাহায্য করছে। তিনি বাগান করতে পছন্দ করেন।
 
এম শঙ্করন
এম শঙ্করনকে ইসরোর পাওয়ার হাউস বলা হয়। কারণ, তাঁর অভিনব পাওয়ার সিস্টেম ও সোলার অ্যারে তৈরিতে দক্ষতা রয়েছে। তাঁর স্যাটেলাইট তৈরিতে তিন দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি চন্দ্রযান-১, মঙ্গলায়ন ও চন্দ্রযান-২ অভিযানের জন্য স্যাটেলাইট তৈরিতে যুক্ত ছিলেন। 

তিনি চন্দ্রযান-৩-এর তাপমাত্রা ঠিক রাখার দায়িত্বে কাজ করেন। তিনি চাঁদের পৃষ্টের প্রতিলিপিও তৈরি করেন; যেখানে অভিযানের ল্যান্ডারটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। 

ভি নারায়াণ
ভি নারায়াণ লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের পরিচালক। তাঁর নেতৃত্বে বিক্রম ল্যান্ডারের থ্রাস্টার তৈরি করা হয়। যা মহাকাশযানকে চাঁদে নামতে সাহায্য করবে। তিনি খড়গপুরের আইআইটি থেকে পাস করেছেন এবং ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের বিশেষজ্ঞ। 

চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণকারী লঞ্চ ভেহিক্যাল মার্ক-৩-সহ ইসরোর বেশির ভাগ রকেট তৈরিতে ভূমিকা রয়েছে। ভারতের সর্ববৃহৎ ডিশ অ্যানটেনা (৩২ মিটার) বেঙ্গালুরের বাইরে অবস্থিত। যা বিক্রম ল্যান্ডারকে নির্দেশনা দেয়। 

বিজ্ঞানীরা অবতরণের আগের সময়কে ‘২০ মিনিটের আতঙ্ক’ বলেছে। যা ‘ফ্লাইং সসারের’ মতো দেখতে ইসরোর বিল্ডিং থেকে দেখা যাবে।

ভারতে এয়ার শো উপলক্ষে বেঙ্গালুরুতে মাংস বিক্রি বন্ধ

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে রায়

মহাসাগরে ‘চীনের আধিপত্য’ ঠেকানোই এখন ভারতের মূল অগ্রাধিকার: রাজনাথ সিং

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নিহত ১২ ও নিখোঁজ ১৬ ভারতীয়, জানাল মোদি সরকার

হোয়াইট হাউস আক্রমণের চেষ্টা: ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাৎসি যুবকের ৮ বছরের জেল

ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ে ১২ মাওবাদী নিহত

কুম্ভমেলার ভাইরাল সাধুরা: আইআইটি বাবা থেকে অ্যাম্বাসেডর বাবা

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের ঘোষণার পরপরই আদানির শেয়ারে ব্যাপক উল্লম্ফন

ভাইরাল আইআইটি বাবা একদিন বাড়ি ফিরবেন, আশা পরিবারের

নির্বাচন নিয়ে জাকারবার্গের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল মেটা ইন্ডিয়া

সেকশন