অনলাইন ডেস্ক
ক্ষমতাসীনদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে বলেছেন দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার বিজেপির এমপি অনুরাগ ঠাকুর ও পরবেশ বার্মার বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা করার অনুমতি চেয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা বৃন্দা কারাতের আবেদনের শুনানির সময় আদালত এ কথা বলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা ২০২০ সালে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত বৃন্দা কারাতের ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তবে এ সময়, হাইকোর্ট যেকোনো ধরনের ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ দেওয়ার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে বলেও মন্তব্য করেন। হাইকোর্ট বিশেষভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এই বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি চন্দ্র ধারী সিং বলেছেন, ‘নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে ধর্ম, জাত, অঞ্চল বা গোষ্ঠীর ভিত্তিতে কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক ভারতীয় ভ্রাতৃত্বের ধারণার বিরোধী।’ তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মানুষেরা সাংবিধানিক নীতিকে দলন করে এবং সংবিধান স্বীকৃত ন্যায্যতা ও স্বাধীনতার অধিকারকে লঙ্ঘন করে।
বিচারপতি চন্দ্র ধারী সিং আরও বলেন, এটি আমাদের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক দায়িত্ব অস্বীকার এবং স্পষ্ট অপমান। এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলোর শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক পরিস্থিতির’ সূচনা করে, বৈষম্য, বিয়োজন এমনকি গণহত্যার মতো বিষয়ও শুরু করতে পারে। আদালত এ সময় বলেন, কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নেতাদের কোনোভাবেই জড়িত থাকা যাবে না।
আদালত আরও বলেছেন, ‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত নেতারা কেবল তাঁদের এলাকার মানুষের কাছেই দায়বদ্ধ নন বরং তাঁরা সমগ্র ভারতী সমাজ, জাতি এবং সামগ্রিকভাবে দেশের সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।’