অনলাইন ডেস্ক
ভারতের দিল্লি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কারাবন্দী দুই মন্ত্রী। তাঁরা হলেন দিল্লি রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীকেই দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার মনীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দর জৈনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর পদত্যাগপত্র অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। বুধবার তাঁদের পদত্যাগে অনুমোদন দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর ফলে দিল্লি মন্ত্রিসভার দুটি পদ খালি হয়েছে। আর সেই দুই পদে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আগেই মামলা হয়েছিল। অন্যদিকে অর্থ পাচারের অভিযোগে গত মে মাসে গ্রেপ্তার হন সত্যেন্দর জৈন। কারাগারে থাকার পরও মন্ত্রী পদে বহাল ছিলেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২২ জুলাই নতুন আবগারি নীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। তিনি এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। দিল্লির মুখ্য সচিব একটি রিপোর্ট দিয়ে জানান, মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। মদের ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
একই বছরের ২৮ জুলাই সিসোদিয়া জানান, পরবর্তী ছয় মাস দিল্লিতে পুরোনো আবগারি নীতিই কার্যকর থাকবে। যত দিন না নতুন আবগারি নীতি চালু হচ্ছে, তত দিন পুরোনো নীতি মেনে চলা হবে। ১৭ আগস্ট মামলা রুজু করে সিবিআই।