অনলাইন ডেস্ক
ভারতে ভোটের রাজনীতিতে হিন্দুত্ব যে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি কয়েক বছর আগেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। অযোধ্যার রামমন্দির, গোরক্ষা, ঘর ওয়াপসি, ধর্মান্তরবিরোধী আইন বারবারই ভোটের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে বিজেপি।
শেষোক্ত অস্ত্রে এবার শান দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ শনিবার আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান বলেন, ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে একটি আইন করা উচিত। তবে দেখতে হবে এতে যেন কেউ অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার না হন।
পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কেজরিওয়াল বলেন, ‘ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে অবশ্যই একটি আইন করা উচিত। তবে এর মাধ্যমে কাউকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা উচিত নয়। ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর করা ভুল। প্রত্যেকের নিজ পছন্দ অনুসারে ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে।’
উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল এবং মধ্যপ্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করেছে। আসামের মতো আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যও একই রকম আইন আনার কথা ভাবছে।
অনেকে বলছেন, নির্বাচন এগিয়ে আসছে। পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। ফলে কেজরিওয়ালও ভোটার টানতে কোমল হিন্দুত্বের আবেগ কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। যেমনটি গতবার দিল্লির ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে মুসলিমদের বিক্ষোভ ও বিজেপি বিরোধী মনোভাবকে পুঁজি করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
জলন্ধরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কেজরিওয়াল আরও বলেন, এখানে এএপির সরকার ক্ষমতায় গেলে ডোরস্টেপ ডেলিভারি পরিষেবা এবং মহল্লা ক্লিনিক চালু করবে। ১৬ হাজার ক্লিনিক করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পাঞ্জাবের সব হাসপাতাল সংস্কার করা হবে। দিল্লির মতো, পাঞ্জাবও সমস্ত সুবিধা পাবে। পাঞ্জাবে কোনো নতুন কর আরোপ করা হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন কেজরিওয়াল।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব বিধানসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফল প্রকাশ হবে ১০ মার্চ।