কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী ও নেতাদের মধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা। কেননা দীর্ঘ ২২ বছর পর সভাপতি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে ২০০০ সালে জিতেন্দ্র প্রসাদকে হারিয়ে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর বিনা ভোটেই কংগ্রেসের সভাপতি হন রাহুল গান্ধী। কিন্তু ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট রাহুল লোকসভা ভোটে পরাজয়ের কারণে ইস্তফা দেওয়ায় সোনিয়াকেই ফের দায়িত্ব নিতে হয়। তারপরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন। নেতারা অনুরোধ করলেও এবার গান্ধী পরিবারের কেউই ভোটে দাঁড়াননি।
নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বলছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। দুই প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর দুজনই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তবে তারা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করেননি।
রাজধানী দিল্লিতে দলের সদর দপ্তর ছাড়াও গোটা দেশের ৩৬টি পোলিং স্টেশনের ৬৭টি বুথে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মধুসূদন মিস্ত্রি জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীসহ কয়েকজন নেতা দক্ষিণ ভারতের ভারত জোড়ো পদযাত্রায় ব্যস্ত থাকায় সেখানেও বিশেষ বুথের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাহুলের পাশাপাশি তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা ব্যস্ত হিমাচল প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে। সোনিয়া গান্ধী দিল্লিতে থাকলেও তিনি কোনো পক্ষের হয়েই প্রচারে অংশ নেননি। মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর দুজনই বলছেন গান্ধী পরিবার নিরপেক্ষ রয়েছেন।
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে শশী থারুর মন্তব্য, ‘মল্লিকার্জুন খাড়গে আমারও নেতা। ভোটে লড়ছি গণতন্ত্রের স্বার্থে।’ মল্লিকার্জুন খাড়গেও শশী থারুর বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। তবে উভয় নেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বেশ সক্রিয়। দুজনই ভারতের ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রচার চালান।