হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

শ্বেতাঙ্গ নারীদের ভোটে নজর ডেমোক্র্যাটদের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি

মার্কিন নির্বাচনে ভোটারদের একটি বড় অংশ শ্বেতাঙ্গ নারীরা। গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ভোটারদের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার সেই চিত্র বদলে দিতে মরিয়া চেষ্টা ডেমোক্র্যাট শিবিরের। তারা চাইছে, তাদের প্রার্থী কমলা হ্যারিস যেহেতু একজন নারী, ফলে নারীরা যেন তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে একজন নারীকেই বেছে নেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। ফিলাডেলফিয়ার নিউ হোপ এলাকায় এ প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের একজন লিজ মিনেলা। সেখানে কমলার পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি; বিশেষ করে জোর দিচ্ছেন শ্বেতাঙ্গ নারীদের ভোট নিশ্চিতের ওপর। তাঁদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও মিলছে। ফলে তাঁর আশা, ভোটের মাঠে এর প্রভাব পড়বে।

নির্বাচনী প্রচারে লিজ মিনেলা বিশেষ করে নারীদের গর্ভপাতের বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটনের সমাবেশে কমলা হ্যারিস নিজেও গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একজন মানুষের অবশ্যই তাঁর নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। তবে তৃণমূলের আলোচনায় নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের পাশাপাশি উঠে আসছে অভিবাসনের মতো ইস্যুগুলো। ভোটারদের অনেকে মনে করছেন, অভিবাসীরা নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তারা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে। ফিলাডেলফিয়ার নিউ হোপ এলাকায় সম্প্রতি ভোট চাইতে গিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির অ্যাকটিভিস্ট লিজ মিনেলাকে শ্বেতাঙ্গ নারীদের এমন আশঙ্কার কথা শুনতে হয়েছে।

৫২ বছরের এক নারী বেশ আন্তরিকতা নিয়ে লিজ মিনেলার কথা শুনেছেন। তবে গতবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া এই নারী এবারও তাঁর অবস্থান বদল করেননি। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে নিজের আস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই ঘটনা প্রমাণ করে, কমলা শিবিরের ব্যাপক প্রচার সত্ত্বেও শ্বেতাঙ্গ নারীদের মত বদলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর ভোট কমলার জন্য সম্ভাবনাময় হতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফলে এ জনগোষ্ঠীকে আরও কাছে টানতে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট শিবির। যদিও গত দুই নির্বাচনে এই ভোটারদের একাংশকে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকতে দেখা গেছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে ৪৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ নারী ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন; যেখানে হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছেন ৪৫ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ নারী। ২০২০ সালের নির্বাচনে এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৬ শতাংশ। ওই বছরের নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ নারীর ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। বিপরীতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের ঘরে গেছে ৪৬ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ গত নির্বাচনেও ট্রাম্পের চেয়ে শ্বেতাঙ্গ নারীদের ভোট ৭ শতাংশ কম পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।

ডেমোক্র্যাট শিবিরের তরফে এবার দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ২০১৬ সালে যখন হিলারি ক্লিনটন প্রার্থী ছিলেন, তখনো একই আওয়াজ তুলেছিল ডেমোক্র্যাটরা। তবে শ্বেতাঙ্গ হিলারি ক্লিনটনের পক্ষেও সেবার তাদের সর্বোচ্চসংখ্যক ভোট নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এবারও এ প্রচার কতটা কাজে লাগবে, তা নিশ্চিত করে এখনই বলা সম্ভব নয়।

শপথের দিনেই যেসব নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন ট্রাম্প

ব্লিঙ্কেনের সংবাদ সম্মেলন থেকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিল

তীব্র ঠান্ডায় ট্রাম্পের অভিষেক ঘরে, ফিরে এল ৪০ বছর পুরোনো ঘটনা

যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ২৭

টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের এক সপ্তাহ পর বাড়ি ফেরার পরামর্শ

দাবানলে পোড়া ভিটেমাটিতে এখন শুধুই হাহাকার, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপদ তবু কাটেনি

বন্ধ হচ্ছে আদানির ১০০ বিলিয়ন ডলার গায়েব করা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ

সেকশন