অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখা পেতে পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎই ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে হাজির হয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এটি রাষ্ট্রীয় সফর ছিল না, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি ও সীমান্ত সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকেই এই আকস্মিক সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ট্রুডোকে ওয়েস্ট পাম বিচের একটি হোটেল থেকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রিসোর্টে যেতে দেখা যায়। জননিরাপত্তা মন্ত্রী ডোমিনিক লেবলাংক ট্রুডোর সঙ্গে ছিলেন। তবে কোনো পক্ষ থেকেই এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ট্রাম্প সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন, কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্তে মাদক ও অভিবাসীদের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শুল্ক আরোপ কানাডার অর্থনীতিতে বড় আঘাত হানতে পারে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদক দেশ কানাডা। দৈনিক ৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উল্লেখযোগ্য অংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, তেলের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নেই ট্রাম্প প্রশাসনের।
ট্রুডোর এই সফরের পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপকেও কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কানাডায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমেছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের নির্বাচনে তার লিবারেল পার্টি বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির কাছে পরাজিত হতে পারে।
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির মোকাবিলায় ট্রুডো চলতি সপ্তাহে কানাডার ১০টি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।