অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের প্রধান (প্রেসিডেন্ট) ডক্টর ক্লাউডিন গের বিরুদ্ধে গবেষণামূলক প্রবন্ধে লেখা চুরি বা কুম্ভিলকবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে পদত্যাগ দাবির কিছুদিন পরই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন এ অভিযোগ উঠল। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লাউডিন গে কুম্ভিলকবৃত্তির আশ্রয় নিয়েছেন—এমন অভিযোগ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এখন তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি স্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, তিনি অন্য অধ্যাপকদের লেখা নিলেও, সেগুলোর স্বীকৃতি দেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের একটি কমিটি ডক্টর ক্লাউডিন গের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে। এই কমিটি গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ-সংক্রান্ত সব নথি চেয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন ডক্টর ক্লাউডিন গে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই গবেষণায় তারা ‘যথাযথ বিশ্লেষণ ছাড়া সদৃশ ভাষার’ দুটি উদাহরণ পেয়েছে।
তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ডক্টর ক্লাউডিন নিবন্ধে অপ্রতুল উদ্ধৃতি রয়েছে, তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা নীতির কোনো লঙ্ঘন করেননি। ক্লাউডিন গবেষণা নিবন্ধটি হালনাগাদ করবেন এবং উদ্ধৃতিতে যে অপর্যাপ্ততা রয়েছে সেটি ঠিক করবেন।
ডক্টর ক্লাউডিনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের যে কমিটি তদন্ত করছে, সেটির নেতৃত্বে রয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ভার্জিনিয়া ফক্স। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদিবিদ্বেষ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের শুনানিতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য গে পদত্যাগের দাবির মুখে পড়লে—একই কমিটি তদন্তের দায়ভার পেয়েছিল।
ভার্জিনিয়া ফক্স জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারাও এ ধরনের কিছুর সঙ্গে জড়িত কি না সেটি দেখা হবে।
হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সরকারের কাছ থেকে প্রতিবছর কয়েক শ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়ে থাকে এটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে হার্ভার্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ রোধবিষয়ক আলোচনার সময় যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে সংবেদনশীলতা এবং ভণ্ডামির অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে গে ছিলেন অন্যতম।