ইসলাম ডেস্ক
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন বিজ্ঞানীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে যাত্রা করেছেন আমিরাতের মহাকাশ গবেষক ড. সুলতান আল-নিয়াদি। তিনি প্রথম আরব নভোচারী হিসেবে আগামী ছয় মাস সেখানে অবস্থান করবেন। তিনি মুসলিম হওয়ায় প্রশ্ন এসেছে, এই সময়ে কীভাবে তিনি রমজানের রোজা ও ঈদ পালন করবেন।
এ প্রশ্নের জবাবে মহাকাশযাত্রার আগে ৪১ বছর বয়সী আল-নিয়াদি সাংবাদিকদের জানান, মহাকাশে থাকাকালীন তাঁকে রমজান মাসের রোজা রাখতে হবে না। তিনি বলেন, ‘আমি ইসলামের বিধান অনুসারে ভ্রমণকারীর সংজ্ঞায় পড়ি। তাই রমজানের রোজা রাখা বা না রাখার সুযোগ আমার রয়েছে। এটি বাধ্যতামূলক নয়।’
আল-নিয়াদি আরও বলেন, ‘এই সময়ে আমাদের সুস্থ থাকার জন্য যা করা দরকার, তা করার অনুমতি আছে। যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে আমাদের পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে সুযোগ পেলে আমি রোজা রাখব এবং অন্যদের সঙ্গে আমার খাবার ভাগাভাগি করে নেব।’
সুলতান আল-নিয়াদি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় নভোচারী। এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হাজ্জা আল-মানসুরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৮ দিন কাটিয়েছিলেন।
ড. আল-নিয়াদিই প্রথম মহাকাশে রমজান কাটাচ্ছেন তা নয়, আগেও অনেক মুসলিম মহাকাশে রমজানের রোজা পালন ও নামাজ আদায় করেছেন। ১৯৮৫ সালে সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে গিয়েছিলেন। প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে তিনি মার্কিন মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। মহাকাশে যাত্রার দিন তিনি রোজা রেখেছিলেন।
সূত্র: আরব নিউজ, দ্য ন্যাশনাল