হোম > ইসলাম

খাওয়াদাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত

ড. মো. শাহজাহান কবীর

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ও পরিমিত খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। খাদ্য-পানীয় হালাল হওয়া আবশ্যক। খাওয়াদাওয়ার বেশ কিছু ইসলামি শিষ্টাচার রয়েছে, যা মেনে চললে খাওয়াটাও ইবাদত বলে গণ্য হবে। খাওয়া শুরু করার আগে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া সুন্নত।

কুলি করাও সুন্নত। খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ্’ বলা উচিত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘শয়তান ওই খাবারকে নিজের জন্য হালাল মনে করে, যা খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়নি।’ (মুসলিম) বিনয়ের ভঙ্গিতে খেতে বসা সুন্নত। আসন গেড়ে বসা বেশি খাওয়ার নিয়তে হলে মাকরুহ, অন্যথায় জায়েজ। দস্তরখানা বিছানো সুন্নত। খাবার পড়ে গেলে তা উঠিয়ে খাওয়া। নবী (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কারও খাবারের অংশ পড়ে যায়, তবে তা থেকে ময়লা দূর করবে এবং খেয়ে ফেলবে, শয়তানের জন্য রেখে দেবে না।’ (মুসলিম) ডান হাতে খাবার খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবে, ডান হাতে খাবে। কেননা শয়তান বাম হাতে খায়।’ (মুসলিম)  বসে ডান হাতে পানি পান করাও সুন্নত। মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। বলতেন, ‘এভাবে পান করা নিরাপদ ও তৃপ্তিদায়ক।’ (বুখারি ও মুসলিম)  বসে খাবার গ্রহণ করা সুন্নত। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘দাঁড়িয়ে খাওয়া বেশি খারাপ, বেশি দূষণীয়।’ (মুসলিম) পাত্রে ফুঁ দেওয়া অনুচিত।

মহানবী (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিজি)। খাবারের দোষ ধরা অনুচিত। নবী (সা.) কোনো খাবারের দোষ বের করতেন না। মনে চাইলে খেতেন, অপছন্দ হলে রেখে দিতেন। (বুখারি)

ড. মো. শাহজাহান কবীর, বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

মিরাজের প্রেক্ষাপট ঘটনাপ্রবাহ ও শিক্ষা

মিরাজ সম্পর্কে প্রচলিত ৩ ভুল বিশ্বাস

কাজা রোজা সম্পর্কে যা জানতে হবে

খলিফা ওমরের সাফল্যের নেপথ্যে ৪ গুণ

ইমানি শক্তি বাড়ে যে ৩ আমলে

নামাজের ইমামতি করতে যে যোগ্যতা দরকার

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

সেকশন