হোম > ইসলাম

গালাগালি করা মুমিনের কাজ নয়

মুনীরুল ইসলাম

গালাগালি করা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্বভাব। মুনাফিক ব্যক্তিই অন্যের সঙ্গে কলহ-বিবাদে লিপ্ত হলে মুখ খারাপ করে এবং অবলীলায় অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। যাপিত জীবনে কত রকম মানুষের সঙ্গেই মেলামেশা ও লেনদেন করতে হয়। এতে কখনো কখনো মতের অমিল দেখা দেয় এবং মাঝেমধ্যে তা কলহ-বিবাদ পর্যন্ত গড়ায়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু একজন প্রকৃত মুমিন কোনো অবস্থাতেই মুখের ভাষা খারাপ করতে পারেন না। সব সময় তিনি নিজ ভদ্রতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।

দৃষ্টিভঙ্গিগত মতভেদ হোক, চিন্তা-চেতনার অমিল হোক, রাজনৈতিক কিংবা ব্যবসায়িক বিরোধ হোক—কোনো অবস্থাতেই একজন মুমিন মন্দ বাক্য উচ্চারণ করবেন না। হাদিস শরিফে আল্লাহর রাসুল (সা.) মুসলমানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তিকে মুসলমান বলা হয়, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ (মুসলিম) তাই কখনোই মুখের ভাষা খারাপ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।

গালাগালি করা মুনাফিকের আলামত। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘চারটি স্বভাব এমন, যার সবগুলো কারও মধ্যে থাকলে সে পুরোদস্তুর মুনাফিক, আর যার মধ্যে তার কোনো একটি থাকবে, সে যতক্ষণ তা পরিত্যাগ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকির একটি স্বভাব থাকবে। (স্বভাব চারটি হচ্ছে) যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, সে তা খেয়ানত করে; যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে; যখন কোনো ওয়াদা করে, তা ভঙ্গ করে এবং যখন কারও সঙ্গে ঝগড়া করে, তখন গালিগালাজ করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

মুনীরুল ইসলাম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

মিরাজের প্রেক্ষাপট ঘটনাপ্রবাহ ও শিক্ষা

মিরাজ সম্পর্কে প্রচলিত ৩ ভুল বিশ্বাস

কাজা রোজা সম্পর্কে যা জানতে হবে

খলিফা ওমরের সাফল্যের নেপথ্যে ৪ গুণ

ইমানি শক্তি বাড়ে যে ৩ আমলে

নামাজের ইমামতি করতে যে যোগ্যতা দরকার

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

সেকশন