নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে, মামলা করে সরকার ভয় দেখিয়ে আন্দোলনকে দুর্বল করতে চায় জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, জীবন বাজি রেখে এক দফার আন্দোলন করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে, আবার পুলিশ আমাদের আটক করছে। দেশের বিচারব্যবস্থা বলে কিছু নাই। গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তাঁর সহধর্মিণীর নামে প্রশ্নবিদ্ধ, ফরমায়েশি রায় হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা হচ্ছে, ভিপি নুরের ওপর হামলা হচ্ছে। এগুলো কিসের আলামত? সিনিয়র নেতাদের রক্তাক্ত করে নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু ভয় পেলে চলবে না। জীবন বাজি রেখে এক দফার আন্দোলন করতে হবে।’
রাশেদ আরও বলেন, ‘আমরা যতবার হাসপাতাল যাব, সুস্থ হয়ে আবার রাজপথে ফিরে আসব। জেলে নিলে মুক্তি নিয়ে আবার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ব। অধিকার ও মর্যাদার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে আমরা জীবন দিতে, রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘নুরুল হক নুরকে দুপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেখতে যাওয়ার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছে সেখান থেকে চলে যেতে। চিকিৎসা শেষ না করেই আমাদের হাসপাতাল ছাড়তে হয়।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘হামলা-মামলা আটক করে ছাত্র পরিষদকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সব ছাত্র সংগঠন নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের ঘোষণা আসছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ প্রমুখ।