নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় ‘তদারকি সরকারের’ অধীনে নির্বাচন, জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক আসন পদ্ধতির প্রবর্তনসহ বাম জোটের দাবির সমর্থনে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে নেত্রকোনায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে বাম জোট ও শরিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ, মিছিলে হামলা করছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে জনগণের তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি তা আড়াল করতে সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে আজ নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, ডা. দিবালোক সিংহসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, নেত্রকোনা পুলিশ প্রশাসন অনুমতির দোহাই দিয়ে মিছিল করতে বাধা দেয়। কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে কোনো আন্দোলনই অনুমতি নিয়ে হয় নাই।
সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে উল্লেখ করে এ বাম নেতা বলেন, হামলা-মামলা, বাধা প্রদান করে অতীতের অগণতান্ত্রিক-স্বৈরাচারী সরকারের মতো এ সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তন করে তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া সরকারের কোনো বিকল্প পথ নেই। জনগণ এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদ নেতা নিখিল দাস, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা মানস নন্দী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন জোটের নেতারা।
এই সমাবেশের আগে বিকেলে একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।