হোম > রাজনীতি

নুরের দল আন্দোলনে, রেজাপন্থী ২ নেতা তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। এই নির্বাচনে ছোট ছোট অনেকগুলো দল অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও সে পথে না গিয়ে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। তবে ভোটে আসার জন্য নানা মহল থেকে চাপ আছে বলে দাবি করেছেন অনিবন্ধিত দলটির নেতা নুরুল হক নুর। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়াপন্থী নেতাদের কেউ কেউ। এরই মধ্যে রেজাপন্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্য তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়নও নিয়েছেন।

জানা গেছে, রেজাপন্থী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম সাফি মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। ময়মনসিংহ-৭ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মালেক ফরাজী। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারীকে। তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন নেওয়া দুজনকেই ২৩ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার এবং আফসারীকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সদস্যসচিব ফারুক হাসান। তিনি আরও বলেন, ‘এস এম সাফি ও মালেক ফরাজীকে আগেই সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন নেওয়ার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে, তাদের কোনো স্থান আমাদের দলে নেই।’

আমিন আহমেদ আফসারী প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, ‘তাকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে দাওয়াত করেছে, গিয়েছিল হয়তো। উনাকে আমরা শোকজ করেছি।’ দলীয় কর্মসূচিতে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি তো বয়স্ক মানুষ, তাই মাঠের কর্মসূচিতে একটু কম থাকেন। ইনডোর প্রোগ্রামগুলোতে নিয়মিত থাকেন। সবার তো সব জায়গায় থাকার দরকার নাই। উনি আমাদের কূটনৈতিক দিকগুলো দেখছেন। আর মাঠে-ময়দানে তো আমরা আছি।’

আন্দোলনে নুরপন্থীরা
গণঅধিকার পরিষদের রেজাপন্থী অংশটির নেতারা নির্বাচনমুখী হলেও নুরপন্থীরা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিদিনই মিছিল-সমাবেশ করছেন। সেখানে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অংশ নিতেও দেখা যাচ্ছে। 

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিভিন্ন দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন নুরপন্থী গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। নুরুল হকের ওপরেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চাপ আছে আমাদের ওপর। সংস্থাগুলো কয়েক মাস ধরেই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিচ্ছে।’

দলের ওপর নির্বাচনে অংশ নিতে চাপের বিষয়টি শিকার করে দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই গোয়েন্দা সংস্থার নজরবন্দী। গত ২৮ অক্টোবরের পর আমাদের একজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন, জনপ্রিয় দলগুলোর মতো আমাদের ওপরেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সরকারি চাপ আছে। তবে আমরা নির্বাচনে যাব না।’

তবে চাপ থাকলেও দলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়ে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, আসনসহ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এমনও বলা হয়েছে, আপনাদের তো নিবন্ধন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আপনারা তো আসেন নাই। এখনো সুযোগ আছে, নির্বাচনে আসেন, সংসদ সদস্য হোন। আর যদি আন্দোলন করতে চান, তাহলে মির্জা আব্বাস, খসরুদের সঙ্গে কাশিমপুরে আন্দোলন করবেন।’

মধ্যরাতে ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু ও সিরাজ সিকদারের ছবি মুছল কারা

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

দু-এক দিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সিদ্ধান্ত

শনিবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ করবে ছাত্রদল

সংসদে কোনো নারী কোটা থাকা যাবে না: মুফতি ফয়জুল করীম

আ.লীগ উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে: রিজভী

তরুণ প্রজন্মের শক্তিতে বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে: মির্জা ফখরুল

এক–দুই দিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

সর্বদলীয় বৈঠক: ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন

শেখ হাসিনার জন্য ভারত অস্থির হয়ে গেছে: রিজভী

সেকশন