ক্রীড়া ডেস্ক
বেশ কয়েকটি কারণে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে অসন্তোষ অবস্থা বিরাজ করছে। লম্বা ছুটি শেষে ক্যাম্পে ফিরলেও তাদের অনেকেই স্বস্তিতে নেই। একে তো অক্টোবরের পর থেকে বাফুফের চুক্তিতে নেই সাবিনারা। তার ওপর বিদেশি লিগে ডাক পাওয়া দুজন খেলোয়াড়কে ছাড়পত্র দেয়নি ফুটবল ফেডারেশন। এ ছাড়া বাফুফের ঘোষিত বোনাসও হাতে পায়নি মেয়েরা। এমন সব বিষয় নিয়ে হতাশার মাঝে এবার অনুশীলন বর্জনের ডাক তাদের।
যদিও একটি সূত্র বলছে, নারী দলের বিদেশি কোচ পিটার বাটলারকে ডাগআউটে দেখতে চায় না দলের সিনিয়র কয়েকজন খেলোয়াড়। যেটা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে গত বছর নেপালে সাফ চলাকালেও এমন গুঞ্জন রটেছিল। তারপর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও কথা বলেন পিটার। একপর্যায়ে নারী দলের সঙ্গে আর কাজ করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাফুফে তাঁকে ছাড়তে চায়নি। শেষ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য মেয়েদের কোচ হিসেবে বাটলারকে রেখে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সিংহভাগ ফুটবলারই চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিফেন্ডার আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা সাফ জেতার পর এটা (চুক্তি) নিয়ে আশায় ছিলাম। ভাবছিলাম তারা (বাফুফে) দ্রুত আমাদের চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করবে। কিন্তু অক্টোবরের পর থেকে বেতন পাচ্ছি না। এটা কী ঠিক হলো বলেন।’
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটো ম্যাচ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের। সেখানে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অংশ নেবে বাংলাদেশ। ২ মার্চ একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ফুটবলাররা। এই দুটি ম্যাচ ও জুনের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১৫ জানুয়ারি জাতীয় নারী দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এত দিন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমানের অধীনে অনুশীলন চলছিল। এখন থেকে পিটার বাটলার তাদের অনুশীলন করাবেন। কিন্তু বাটলার আসার পর মঙ্গলবার তাঁর অধীনে অনুশীলনে অংশ নেননি কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলার। আজ পুরো নারী ফুটবল দলই অনুশীলনই বর্জন করল।