ক্রীড়া ডেস্ক
সংস্করণ টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি যা–ই হোক, ট্রাভিস হেডের ব্যাট একরকমেই চলবে। এটাই যেন নিয়ম করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা কি মোহাম্মদ সিরাজ সেটি দেখেন না, বলের লেংথ বুঝে তীব্র গতিতে ব্যাটের সুইংয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করতেই যেন আনন্দ তাঁর। ব্যাটের সুইংয়ে স্পিডোমিটারও হয়তো ভেবাচেকা খায়! অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতের বোলিং আক্রমণ গুঁড়িয়ে ১৪১ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তোলেন হেড। কিন্তু জয়ের পরই দুঃসংবাদ পেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
অ্যাডিলেডে পিংকে টেস্টে মোহাম্মদ সিরাজের এক ওভারে প্রথম বলে ৪ মারলেন হেড, এক বল বিরতি দিয়ে পরের বলে ছক্কা। তার পরের বলেই হেডকে বোল্ড করে উত্তেজিত অঙ্গভঙ্গি ও ‘সেন্ড অফ’ দেখান ভারতীয় পেসার। তখন তাদের মধ্যে শুরু হয় কথার লড়াই। অল্প সময়ে পাল্টা কিছু বলতে দেখা যায় হেডকেও। ক্রিকেটীয় চেতনা বহির্ভূত কাজ করে এ ঘটনায় দুজনকেই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
মোহাম্মদ সিরাজকে আচরণবিধির ২.৫ ধারা ভঙ্গের অপরাধে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে। ব্যাটারের আউটের পর এমন ভাষা, কাজ-ইঙ্গিত প্রদর্শন যা তাঁকে অবমাননাকর বা উসকানিমূলক প্রতিক্রিয়ায় প্ররোচিত করতে পারে—এই ধারা ভঙ্গের জন্য সিরাজের নামে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে শৃংখলাভঙ্গের রেকর্ডে। আর হেডকে তিরস্কারের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
হেডকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে আচরণবিধির ২.১৩ ধারা ভঙ্গের কারণে—কোনো খেলোয়াড়, খেলোয়াড়ের সহায়তাকারী কর্মী, আম্পায়ার বা ম্যাচ রেফারির প্রতি অবমাননা করা হয়েছে। সিরাজের বলে আউট হওয়ার হেড আগ্রাসী ও অশোভনীয়ভাবে তাঁর সেলিব্রেশনের প্রতিক্রিয়া জানায়।
সিরাজের ওপর খেপেছেন সাবেক অজি ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্কও। তাঁর বিরুদ্ধে আম্পায়ারকে সম্মান না দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্ক ও স্টুয়ার্ট ক্লার্ক। এ জন্য সিরাজ আইসিসির শাস্তি না পাওয়ায় অবাক হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ক্লার্ক, ‘এলবিডব্লিউর জন্য আবেদন চালিয়ে যাওয়া এবং আম্পায়ারকে (আউট কি না) জিজ্ঞাসা করার জন্য সিরাজকে জরিমানা করা উচিত। তার বল ব্যাটারের প্যাডে আঘাত করার পর সে এমনভাবে দৌড় দেয় যেন ব্যাটার আউট। প্রথম টেস্টেও সিরাজ এমনটা করেছে। চাইলে আপনি যেকোনো কিছুর জন্যই আবেদন করতে পারেন, তবে আপনাকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারের কাছে আবেদন করতে হবে। আইসিসি তাকে জরিমানা না করায় আমি অবাক হয়েছি।’