ক্রীড়া ডেস্ক
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ইংলিশদের বিপক্ষে ৯ বছর পর টেস্ট সিরিজে জেতার উচ্ছ্বাসও করলেন শান মাসুদরা। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতলেন প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর। সবশেষ ২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছিল পাকিস্তান। সেবার পাকিস্তান জিতেছিল ২টি টেস্ট এবং ১টি হয়েছিল ড্র। এবার জিতল ২-১ ব্যবধানে।
মুলতানে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তান। ঘুরে দাঁড়িয়ে তারপর জিতল টানা দুই টেস্ট। সিরিজের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন শেষ দুই টেস্টে সুযোগ পাওয়া নোমান আলী ও সাজিদ খান। এই দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৯টা নিয়েছেন তাঁরা দুজনে।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও নোমান-সাজিদের স্পিন বিষে নাকাল হয়েছে। অলআউট হয়ে গেছে ১১২ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১২ সালে দুবাইয়ে সর্বনিম্ন ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। লিড নিতে পারল মোটে ৩৫ রান। ৩৬ রানের লক্ষ্য পেয়ে ৩.১ ওভারে তাড়া করেছে পাকিস্তান।
ব্যক্তিগত ৮ রানে ওপেনার সায়েম আইয়ুব ফেরেন জ্যাক লিচের শিকার হয়ে। তারপর অধিনায়ক শান মাসুদের অপরাজিত ৬ বলে ২৩ এবং আবদুল্লাহ শফিকের ৫ রানের সৌজন্যে ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
তার আগে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে আজ আবারও ব্যাটিং শুরু করে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন জো রুট। গাস আটকিনসন ১০ ও লিচের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ১১২ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ১০ উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের দুই স্পিনার সাজিদ ও নোমান। নোমান ৬টি ও সাজিদের শিকার ৪ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে সাজিদ নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, নোমান নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৯টি উইকেটই নিয়েছেন তারা। একটি উইকেট আরেক স্পিনার জাহিদ মাহমুদ শিকার করেছেন। প্রথম টেস্টে সাজিদ-নোমান নিয়েছেন ২০ উইকেটের সবগুলো।
১৯৮০ ও ১৯৮৭ সালের পর ২০২৪ সালে দুবার বিপক্ষে দলের সব উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টসহ চতুর্থবার এমন রেকর্ড গড়ল তারা। প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সৌদ শাকিল। দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৯ উইকেট এবং ৭২ রান করে সিরিজসেরা পুরস্কার হাতে তুলেছেন সাজিদ।