নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আট বছর ধরে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল তাঁর জায়গায় নতুন নির্বাচক প্যানেলের প্রধান করা হয়েছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। আগের প্যানেল থেকে বাদ পড়েছেন ১১ বছর ধরে নির্বাচক হিসেবে কাজ করা হাবিবুল বাশার সুমনও। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আছেন হান্নান সরকার।
গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন লিপু ও হান্নান। নতুন দায়িত্বে চ্যালেঞ্জ উতরে নিজেদের সঠিক সিদ্ধান্তেই মনোযোগী হওয়ার প্রত্যয় তাঁদের। তবে সব সময় নির্বাচক প্যানেলের সবচেয়ে বড় বাধা স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারা। ২০১৬ সালে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এ কারণ দেখিয়েই পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নির্বাচক প্যানেলের কাজে হস্তক্ষেপ করেন।
নান্নু-সুমনদের সময়ও একই অভিযোগ আছে কোচ নিয়ে। যদিও সেটা খুব বেশি প্রকাশ্যে আলোচনা হয়নি। নতুন নির্বাচক প্রধান আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন, বিসিবি থেকে এমন অঙ্গীকার পেয়েই দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতা থাকবে। এ ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগে (দল নির্বাচন প্রসঙ্গে) কী হয়েছে সে ব্যাপারে আমি কথা বলতে চাই না, যেহেতু সেটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া ছিল। যেহেতু দল নির্বাচন সেখানে, অধিনায়ক ও কোচ অবশ্যই যুক্ত থাকবেন। সবার মতামত মিলিয়েই আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের যে সিস্টেম আছে সে অনুযায়ী কাজ করব।’
লিপুর নিজেরও একটা লক্ষ্য রয়েছে। আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে মিলবে এমন সূত্রই তাঁর, ‘আমার যে ভিশন সেটা হলো আমি ডেটা বেইজ কাজ করতে চাই। আর আগে যারা নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছে তাদের কাজের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে চাই না। নিজে কীভাবে কাজ করব, কী করতে পারব বা পারব না সেটা সময়ই বলে দেবে। এটা নিশ্চিত ভালোর কিছু সঙ্গে দলের জন্য আপস করতে কখনো পিছপা হব না, সেই ইগো নিয়ে চলব না। তবে এটা ঠিক কাজ করতে গিয়ে যদি স্বাধীনতা খর্ব হয় তবে সেটা আপত্তিজনক।’
স্বাধীনভাবে যদি কাজ করার সুযোগ না পান, তবে সেখানে কাজ করার আনন্দ নেই বললেন লিপু। তখন চলে যাওয়ার ইঙ্গিতও আছে তাঁর কথায়, ‘আর স্বাধীনভাবে কাজ না হলে কাজ করে কোনো আনন্দ নেই। রাস্তা সব সময় খোলা আছে। আসার রাস্তাও খোলা যাওয়ার রাস্তাও খোলা।’