হোম > খেলা > ক্রিকেট

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও রাওয়ালপিন্ডিতে আজ আর বৃষ্টি নামেনি। পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার সব সুযোগই যেন তৈরি করে দিল প্রকৃতি। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে একটু কঠিন হলেও কাজটা দারুণভাবে সারলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। 

দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত স্বাদ উপহার দিল বাংলাদেশ। টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছে সফরকারীরা। 

সব মিলিয়ে টেস্টে প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ ধবলধোলাই। বিদেশের মাঠে জিতল তৃতীয় টেস্ট সিরিজ। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েকে তাদের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিদেশের মাঠে জিতল অষ্টম টেস্ট। 

বৃষ্টি বিঘ্ন না ঘটালে গতকালই হয়তো জয় পেতে পারত বাংলাদেশ দল। তবে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৭ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তুলে জয়ের পথটা ঠিকই মসৃণ করে রেখেছিল তারা। আজ সেখান থেকে খেলা শুরু করেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আর ১৪৩ রান। 

দুই ওপেনারের সৌজন্যে দারুণ শুরুও পায় বাংলাদেশ। তবে জুটির ফিফটির পর আজ ফেরেন দুজনই। মীর হামজার শিকার হয়ে জাকির ফিরলে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। দিনের শুরুতে একবার আউট হলেও বেঁচে যান জাকির। দশম ওভারে মোহাম্মদ আলির অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ডেলিভারি স্কয়ার কাটের চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ জাকির হাসান। বল চলে গেল বদলি উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে। কোনো আবেদন করলেন না ফিল্ডাররা। 

পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, জাকিরের ব্যাটের নিচের কানা হালকা ছুঁয়ে গেছে ওই বল। তাই আবেদন করলে বা রিভিউ নিলে আউট হতে পারতেন বাঁহাতি ওপেনার। পাকিস্তানের রিভিউ না নেওয়ার ব্যর্থতায় বেঁচে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। হামজার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন বাঁহাতি ওপেনার। 

অফ-মিডল স্টাম্পে পিচ করে হালকা মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি রক্ষণাত্মক খেলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি জাকির। ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে বল আঘাত করে স্টাম্পে। সমাপ্তি ঘটে ৩ চার ও ২ ছক্কায় জাকিরের ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংসের। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি বড় করার চেষ্টা করেন সাদমান। কিন্তু ১৮তম ওভারে শান মাসুদকে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনিও। দলীয় ৭০ রানে খুররাম শেহজাদের বলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফেরেন সাদমানও। 

তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও মুমিনুল হকের ৫৭ রানের জুটিতে দিনের শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। রানের খোঁজে থাকা শান্ত এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু ৩৮তম ওভারে সালমান আলী আগার ফুল লেন্থের বল রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে আবদুল্লাহ শফিককে ক্যাচ দেন শান্ত। দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়ে ফেরেন ৩৮ রানে। 

দলীয় ১৫৩ রানে ফেরেন মুমিনুলও। আবরার আহমেদের বলে অপ্রয়োজনীয় শটে আকাশে বল তুল দিয়ে সায়েম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। খেলেছেন ৩৪ রানের কার্যকর ইনিংস। 

পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আবরারকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। মুশফিক ২২ ও সাকিব ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে খুররাম, হামজা, সালমান ও আবরার নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। 

টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ করেছিল বাংলাদেশ। খুররামের তোপেরমুখে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ২৬২ রানে। ১২ রানে এগিয়ে থেকেও পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৭২ রানে। বাংলাদেশ লক্ষ্য পায় ১৮৫ রানের।

নতুন ঝামেলায় বিসিবি, স্থগিত প্রথম বিভাগ ক্রিকেট

ঢাকা ক্যাপিটালের বার্তা স্পর্শ করেছে লিটনকে

বুমরা, শামি, পান্ডিয়াকে নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত

দাপুটে জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই শুরু চান সৌম্য

আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল

বাকি সব ম্যাচে হারলেও সমস্যা নেই রংপুরের, নিশ্চিত প্লে-অফ

পাকিস্তানের খেলা শুরু হতে আজও একই সমস্যা, দেখবেন কোথায়

ভিন্ন ভেন্যুতেও অজেয় রংপুর

খুশদিলের তাণ্ডবে শেষ ৩৬ বলে ৮১ রংপুরের

সেকশন