ক্রীড়া ডেস্ক
আফগানিস্তানের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ইনিংসের পার্থক্য হয়ে থাকল শুরু আর শেষের। টেস্টের ‘বাজবল’ প্রবর্তকদের বিপক্ষে শুরুতে যে ঝড় তুললেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন মার্ক উড-রিস টপলিরা। ১৩ ওভারেই আফগানরা পার করে ফেলে ১০০।
ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আদিল রশিদ। অন্য প্রান্তে দেখেশুনে ব্যাট চালানো ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান (২৮) দলীয় ১১৪ রানে ফেরার পর ধস নামে আফগানদের ইনিংসে। তার সঙ্গে ৮ রান যোগ হতেই রহমত শাহকে (৩) ফিরিয়ে আবারও আদিলের উইকেট উদ্যাপন। তবে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে স্বস্তিটা এল পরের বলে। আদিলের ওভারেই রানআউট গুরবাজ। সাজঘরে ফেরার আগে কী ঝড়ই না তুলেছিলেন এই ওপেনার। ৮ চার ও ৪টি ছয়ে ৫৭ বলে খেললেন ৮০ রানের ইনিংস।
সেখান থেকে ১৯০ রান করতেই নেই ৬ উইকেট। হাতে তখনো প্রায় ১৪ ওভার। শেষ পর্যন্ত প্রথম দুই ম্যাচে হারা আফগানরা যে ৪৯.৫ ওভারে ২৮৪ রানের সংগ্রহ পেল সেটির বড় রূপকার উইকেটরক্ষক ইকরাম আলিখিল (৫৮)। শেষ উইকেট হিসেবে ফেরা মুজিব-উর-রহমানের ২৮ রানের ক্যামিও তো ছিলই, সঙ্গে রশিদ খানের (২৩) ইনিংসটির কথাও বলতে হয়। ইংল্যান্ডের হয়ে সফল বোলার আদিল, ৪২ রানে নেন ৩ উইকেট। পেসার উডের শিকার দুটি।
২৮৫ রানের লক্ষ্য এমনই বা আর কী ইংল্যান্ডের জন্য! কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার আক্ষেপটায় যেন বড় হয়ে উঠল জস বাটলারের কাছে। লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে সময় লাগেনি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ফজলহক ফারুকির তোপের সামনে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো (২)। আরেক ওপেনার ডেভিড মালান (৩২) এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করলেও বোল্ড হয়ে ফেরেন জো রুট (১১) ও অধিনায়ক বাটলার (৯)।
১৩তম ম্যাচে এসে দেখা গেল এ বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন। আফগানরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারাল ৬৯ রানে। ইংল্যান্ড ৪০.৩ ওভারে থামে ২১৫ রানে। বিশ্বকাপে ১৫ ম্যাচ পর জয় পেল আফগানিস্তান, এটি তাদের দ্বিতীয় জয়ও। যেকোনো ফরম্যাটে এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ও আফগানদের।
এর আগে ওয়ানডেতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল দুবার, বিশ্বকাপের ম্যাচ দুটিই জিতেছিল ইংল্যান্ড। আফগানদের বিপক্ষে ইংলিশ ব্যাটারদের এমন আত্মসমর্পণ দেখে মাইকেল ভনের টুইট, ‘ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স দেখে ২০১৫, ২০১১, ২০০৭, ২০০৩, ১৯৯৯ ও ১৯৯৬ বিশ্বকাপের অনুভূতি হচ্ছে।’