ক্রীড়া ডেস্ক
নানা আলোচনা ও বিতর্কের পর অবশেষে কাটল সংকট। আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি হবে হাইব্রিড মডেলেই। হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজনের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) মধ্যে। আয়োজক স্বত্ব পিসিবির হাতে থাকলেও ম্যাচ হবে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে। তবে আংশিক আয়োজক স্বত্ব হারানোর ক্ষতিপূরণ পাবে না পিসিবি। বিনিময়ে পিসিবি ২০২৭ সালের পরে একটি আইসিসি নারী টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বৈরী দুই বোর্ড। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে দেশটিতে যাবে না পাকিস্তানও। তাদের ম্যাচ হবে কলম্বোতে। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বহুল প্রত্যাশিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি হবে দুবাইয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে মরুর বুকে। এমনকি সেমিফাইনাল ও ফাইনালও হবে দুবাইয়ে। পাকিস্তানে হবে ১০ ম্যাচ। তবে ভারত যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনাল যেতে না পারে সে ক্ষেত্রে ম্যাচ দুটি হবে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে।
এর আগে পিসিবি হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। সেটি নিয়ে আইসিসির বোর্ড সভা হলেও রাজি হয়নি তারা। জানিয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভারত যদি পাকিস্তানে না আসে তবে পাকিস্তানও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। পাকিস্তান বিশ্বকাপে তাদের ম্যাচ কলম্বোতে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল আগেই।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। অংশগ্রহণকারী ৮ দলকে ভাগ করা হবে দুই গ্রুপে। প্রত্যেক গ্রুপের দুই শীর্ষ দল যাবে সেমিফাইনালে। সেখান থেকে ফাইনালে। ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে গত বছর ৫০ ওভারের এশিয়া কাপও হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছিল কলম্বোয়। সেমিফাইনাল ও ফাইনালও হয়েছিল সেখানে।