দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়েছে, যেখানে গ্যালারিতে ‘আল্লাহু আকবর-আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি শোনা যায়। মাঠ থেকে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরাও দর্শকদের আহ্বান করেছিলেন আরও জোরে চিৎকার তুলতে। সেই মুহূর্তটি নিয়ে গতকাল দেশে ফিরে বিমানবন্দরে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজ এ নিয়ে কথা বলেছেন ফাইনালের নায়ক ও টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় ইকবাল হোসেন ইমনও। ইমনের কথোপকথন থাকল এখানে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ। কতটা চাপ ছিল? নিজেদের কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন?
ইকবাল হোসেন ইমন: ভারতের বিপক্ষে খেলার সময় আমরা সব সময়ই ভাবি—কোনো ছাড় নয়! সব সময় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ দলে কে খেলছে বা কে নেই, এটা নিয়ে ভাবি না। ফাইনালের আগের দিন দলীয় বৈঠকে সবাই মিলে আলোচনা করেছিলাম কীভাবে তাদের কম রানে আটকে রাখা যায়। আলহামদুলিল্লাহ, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছি।
প্রশ্ন: দুবাই স্টেডিয়ামে দর্শকদের সমর্থনে একবারও কি মনে হয়েছে দেশের বাইরে খেলেছেন?
ইমন: একেবারেই না। দুবাইয়ে প্রবাসী দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পেয়েছি। তারা মাঠে আমাদের জন্য চিৎকার করেছে, এটা যেন দেশের মাঠেই খেলার মতো অনুভূতি এনে দিয়েছে। তাদের এই সমর্থন আমাদের ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
প্রশ্ন: ফাইনাল ম্যাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে গ্যালারিতে ‘আল্লাহু আকবর’-‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি শোনা যায়। সেই মুহূর্তে কেমন লেগেছিল?
ইমন: গ্যালারির আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে আমাদের খেলোয়াড়দের শরীরের রোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল আমরা দেশের মাঠেই খেলছি। সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল, এই সমর্থনের জবাব আমাদের ভালো খেলার মাধ্যমেই দিতে হবে। এটা আমাদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা ছিল।
প্রশ্ন: পেসার হিসেবে আপনার আদর্শ কে বা কারা?
ইমন: দেশে আমার আদর্শ মাশরাফি ভাই। তাঁর বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ, মানসিক দৃঢ়তা এবং ঠান্ডা মাথায় খেলার ধরন আমাকে মুগ্ধ করে। তাঁকে একবার সামনাসামনি দেখার খুব ইচ্ছে। বিদেশি পেসারদের মধ্যে জিমি অ্যান্ডারসন ও শোয়েব আখতারের বোলিং আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁদের মতো বোলিং করতে পারলে আমি খুশি হব।
প্রশ্ন: এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পরিবারের মানুষদের কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া পেলেন?
ইমন: আমার পরিবার আমার সাফল্যে দারুণ খুশি। আমার বাবা-মা আমার চেয়েও বেশি আনন্দিত। তাদের খুশি দেখে আমি আরও ভালো খেলার তাড়না পাই। আমার বাবা তো গ্রামের লোকজন মেজবান খাওয়াবেন। এটা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে।
(সাক্ষাৎকারের বাকি অংশ আগামীকাল আজকের পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণের খেলার পাতায়)