হোম > খেলা > ক্রিকেট

চাকিং কমেছে দেশের ক্রিকেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৬ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছিল, লিগে মোট ১০ বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের মধ্যে ৯ বোলার ছিলেন স্পিনার, একজন পেসার। একমাত্র সেই পেসারের নাম সাইফউদ্দিন।

গত ছয় বছরে সাইফউদ্দিন নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরে সাদা বলে বাংলাদেশ দলে নিজেকে যেমন প্রতিষ্ঠা করেছেন, মহামারি রূপ নেওয়া দেশের ক্রিকেটের এই ‘রোগ’টাও বিসিবি সাফল্যের সঙ্গে অনেকটাই নির্মূল করতে পেরেছে। এবার ডিপিএলে তাই রিপোর্টেড বোলারের সংখ্যা নেমে এসেছে একে। সিটি ক্লাবের যে বোলারের অ্যাকশন সন্দেহ করেছিলেন আম্পায়াররা, তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিয়েছে বিসিবি।

চাকিং নির্মূলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। একটা সময় দেশের ক্রিকেটে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন (১৫ ডিগ্রির বেশি তাঁর কনুই বেঁকে যাওয়া) কিংবা ‘চাকিং’ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, তখন অনেকে রসিকতা করে বলতেন, ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ হয়ে যাবে! অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ডিপিএল, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিব্যি খেলে যেতেন চাকাররা। তাঁদের থামিয়ে দেওয়ার বদলে অনেক ক্লাব সংগঠক সমর্থনও জুগিয়েছেন। এটির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল জাতীয় দলে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক, আল আমিন হোসেন, সোহাগ গাজী, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানির মতো বোলাররা।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিন-সানির বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর যখন দেশের ক্রিকেটে তুমুল হইচই, তখন নড়েচড়ে বসল বিসিবি। তীব্র চাপে আর সমালোচনার মুখে বিশ্বকাপের পর পরিচালক জালাল ইউনুসকে প্রধান করে বিসিবি গঠন করল ‘বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি’। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০১৬ ডিপিএল শেষে ১০ জন বোলারকে নিয়ে কাজ করে কমিটি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে যে বোলারের অ্যাকশন সন্দেহ হয়েছে, চলে এসেছেন কমিটির রাডারে। এই কমিটিতে কারিগরি দিকগুলো মূলত দেখে থাকেন বিসিবির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ম্যানেজার নাসির আহমেদ নাসু। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, প্রায় শেষ দিকে চলে আসা এবারের ডিপিএলে মাত্র একজন বোলার রিপোর্টেড হয়েছেন। পরীক্ষা দিয়ে পরে তিনি খেলার ছাড়পত্রও পেয়েছেন। এই মৌসুমে নিচের স্তরে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের দুজন, দ্বিতীয় বিভাগে তিনজন বোলার রিপোর্টেড হলেও প্রত্যেকে পরীক্ষা দিয়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন। নাসু বলেন, ‘ছয় বছর আগেও এমন অনেক কেস (বোলার) পাওয়া যেত। কমিটি কাজ শুরুর পর কমতে কমতে এখন সেটা প্রায় নাই হয়ে গেছে! চার-পাঁচজন ছিল, দু-তিনবার পরীক্ষা দিয়েছে। তারা একবারও উত্তীর্ণ হতে পারেনি, বোলিং অ্যাকশন পুরোপুরি ঠিক করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে তারা খেলাই ছেড়ে দিয়েছে।’

বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানান, এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলোয়াড়-দলগুলোর মধ্যেও চাকিং নিয়ে অনেক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। একটা সময় অনেক দল চাকারদের খেলাতে আগ্রহী থাকলেও সেটি এখন অনেক কমে গেছে। জালাল ইউনুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন ভয়েই অনেকে চাকিং করে না। আগে তো (অনেক দল) খেলিয়ে দিত। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে অনেক বোলার অবৈধ অ্যাকশন নিয়ে খেলত। এ নিয়ে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছি। আগে এই পর্যায়ে ছাড় পেয়ে অনেক ক্রিকেটার প্রতিষ্ঠা পেয়ে যেত। এটা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। আম্পায়ারদের বলেছি, সন্দেহ হলেই রিপোর্ট করতে। এভাবেই সতর্কতা, সচেতনতা তৈরি হয়েছে সবার মধ্যে। এখনো এটি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করছি।’

রিভিউ কমিটির সক্রিয়তায় সুফল মিললেও চ্যালেঞ্জও কম ছিল না তাদের। অনেক ক্লাব থেকেই চাপ এসেছে রিপোর্টেড বোলারকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু কমিটির কঠোর অবস্থানে সে সুযোগ তারা পায়নি। ক্রিকেটের শুদ্ধতা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে প্রশাসক ঠিক পথে থাকলে কতটা সুফল মেলে, সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই কমিটি। জালাল আশাবাদী, সামনেও তাঁরা এটা অব্যাহত রাখবেন।

বিশ্বকাপের টিকিট ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না বাংলাদেশ

দুঃসময়ে লিটনের পাশে রংপুরও

‘সিলেটের সেমিফাইনালে ওঠা অসম্ভব নয়’

নতুন ঝামেলায় বিসিবি, স্থগিত প্রথম বিভাগ ক্রিকেট

ঢাকা ক্যাপিটালের বার্তা স্পর্শ করেছে লিটনকে

বুমরা, শামি, পান্ডিয়াকে নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত

দাপুটে জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই শুরু চান সৌম্য

আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল

বাকি সব ম্যাচে হারলেও সমস্যা নেই রংপুরের, নিশ্চিত প্লে-অফ

সেকশন