ক্রীড়া ডেস্ক
ধর্ষণের মামলা থেকে সন্দীপ লামিচানে রেহাই পেয়েছেন ঠিকই। তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লামিচানের খেলতে যাওয়া নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা থামছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বারবার প্রত্যাখ্যান করা হলেও অনেক চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত নেপালি লেগস্পিনার সেই ভিসা আর পেলেন না।
লামিচানের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপালের (ক্যান) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চুম্বি লামা। এএফপিকে লামা বলেন, ‘খুবই কম সম্ভাবনা অথবা বলতে বিশ্বকাপে তাকে নিতে কোনো সম্ভাবনা নেই। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নেপাল সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে তদবির করেছিল। তবে ভিসা খারিজ হয়ে যায়।’
নেপালের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না লামিচানে। আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন আনার ডেডলাইনও পেরিয়ে গেছে। সেই সুযোগ ছিল ২৫ মে পর্যন্ত। এবারের বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে নেপালের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস।
ভিসা খারিজের পর লামিচানে গত ২২ মে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডলে নেপালি লেগস্পিনার লিখেছিলেন, ‘নেপালের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ২০১৯ সালেও একই রকম কাজ করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক এটা। নেপাল ক্রিকেটের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
২০২২ সালের ২১ আগস্ট লামিচানের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন কাঠমান্ডু জেলা আদালত। অপরাধবিধি ২০৭৪-এর ২১৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে তাঁর (লামিচানে) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর গৌশালা মহানগর পুলিশের কাছে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করে সেই মেয়ে। ৭ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালত নেপালি এই তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৬ অক্টোবর দেশে ফিরলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর কাঠমান্ডু জেলা আদালত গত বছরের ২২ নভেম্বর লামিচানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি (লামিচানে) যান উচ্চ আদালতে। এরপর এ বছরের ১২ জানুয়ারি পাটান হাইকোর্টের বিচারক ধ্রুবরাজ নন্দ ও রমেশ ধাকালের যৌথ বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ২০ লাখ নেপালি মুদ্রায় জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।