ক্রীড়া ডেস্ক
বড় ম্যাচে স্নায়ুচাপ কীভাবে ধরে রাখতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কেউ ভালো জানে না। সে কারণেই তো অজিরা ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম দল।
রিচি বেনো থেকে অ্যালান বর্ডার, মার্ক টেলর থেকে স্টিভ ওয়াহ কিংবা রিকি পন্টিং থেকে মাইকেল ক্লার্করা যেভাবে চুইংগাম চিবোতেন, তাতে প্রবল চাপেও তাঁদের স্বাভাবিক মনে হতো। তাঁদের শরীরী ভাষা-হাবভাবে যেন স্পষ্ট ফুটে উঠত, টেনশন নেওয়ার জিনিস নয়, দেওয়ার জিনিস।
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে দেখলেও মনে হয়, চাপ তাঁর সংস্পর্শে আসে না। যদিও ফিঞ্চ বলছেন ভিন্ন কথা। অন্যদের মতো তিনি ও তাঁর সতীর্থরাও চাপ অনুভব করেন।
হেরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত হাল ছাড়লেও চাপ সামাল দিতে মাঝে মাঝে হিমশিম খান ফিঞ্চও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অজি দলপতি বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, নখ কামড়ানো উত্তেজনার মুহূর্তে প্রবল চাপ আমরাও অনুভব করি। যদি এমনটা না হয়, তাহলে আমরা আর মানুষ থাকব না। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালটা খুব চাপের ম্যাচ ছিল। সত্যি বলতে আমরা সে সময় যে অবস্থায় ছিলাম, তা ভীষণ রোমাঞ্চকর।’