ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা
ম্যাচের আগে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হুলিয়ান নাগেলসমান বলেছিলেন, মেসি না থাকলেও বার্সেলোনা সহজ প্রতিপক্ষ নয়। গতকাল রাতের ম্যাচে সেটা অবশ্য একবারও মনে হয়নি। বার্সাকে সহজ প্রতিপক্ষ বানিয়ে বড় ব্যবধানে জিতল বায়ার্ন৷ ন্যু ক্যাম্পে বার্সার বিপক্ষে বায়ার্নের জয় ৩-০ গোলে।
২০১৯-২০২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলে বায়ার্নের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল বার্সেলোনা। কাল নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবারও মুখোমুখি বায়ার্ন-বার্সা। দেড় দশক পর লিওনেল মেসিকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা। লজ্জার সেই হারের শোধ নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু ঘরের মাঠে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি রোনাল্ড কোমানের শিষ্যরা।
আক্রমণভাগ তো একেবারেই বিবর্ণ। গোলের উদ্দেশ্যে পাঁচটি শট নিলেও তার কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে। বিপরীতে শুরু থেকেই দারুণ আধিপত্য দেখিয়েছে বায়ার্ন। গোল পেতে যা একটু সময় লেগেছে। ৩৪ মিনিটেই বায়ার্নকে এগিয়ে দেন টমাস মুলার। ডি বক্সের বাইরে থেকে জায়গা করে নিয়ে দূরপাল্লার শট নেন মুলার। এরিক গার্সিয়ার গায়ে লেগে বলের গতিপথ বদলে জালে জড়িয়ে যায়। বার্সা গোলরক্ষক টার স্টেগান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল হজম করে বসেন।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনাকে আরও চেপে ধরে বায়ার্ন। এবার গোল করেন লেভানডফস্কি। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সাকে ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগই দেয়নি বায়ার্ন। মুহুর্মুহু আক্রমণে তটস্থ রেখেছে বার্সার রক্ষণভাগ। নিজেদের অর্ধ থেকে মাঝমাঠ, মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ—ন্যু ক্যাম্পে কাল পুরো মাঠের নিয়ন্ত্রণই ছিল টমাস মুলার ও জামাল মুসিয়ালাদের। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট বাকি থাকতে আবারও গোল করে বসে বায়ার্ন। এবারও গোল আসে লেভানডফস্কির কাছ থেকে।
পোলিশ এই স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে ৩-০ গোলের দাপটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। রাতের আরেক ম্যাচে সুইডিশ ক্লাব মালমোকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে জুভেন্টাস। জয় পেয়েছে চেলসিও। লুকাকুর একমাত্র গোলে রাশিয়ান ক্লাব জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গের বিপক্ষে ইংলিশ জায়ান্টদের জয় ১-০ গোলে।