হোম > খেলা > ফুটবল

আইসিসির প্রচারণাজুড়ে ভারত, বাংলাদেশ সামান্যই

ক্রীড়া ডেস্ক    

আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৪৫
বাংলাদেশ ছিল এক সেকেন্ড। ছবি: আইসিসি

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে হাইব্রিড মডেলের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বেশ ঢালাও প্রচারণাও শুরু করেছে আইসিসি। গতকাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ঐতিহ্যবাহী ‘আইকনিক সাদা জ্যাকেটটি আবার ফিরে এসেছে’ বলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা।

ভিডিওর শুরুতেই চমক! সিনেমার টিজারের মতোই শিরোনাম—‘চ্যাম্পিয়নের মাপকাঠি’। তারপরই নায়কের বেশে আবির্ভূত হলেন কমপ্লিট শুট পরা পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জার্সি, চ্যাম্পিয়নদের সাদা ব্লেজারের মাপকাঠি, কাটিংয়ের কিছু দৃশ্য দেখানো হয়। তার সঙ্গে আকরাম বলতে থাকেন, ‘যখন সম্মান, ইতিহাস এবং বিজয় ঝুঁকির মুখে থাকে। চ্যাম্পিয়নরা তখন সবকিছু বাজি রাখে।’

১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে ইমরান খানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের উদ্‌যাপন, ২০১৮ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের উচ্ছ্বাস, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর সাদা ব্লেজার পরে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে পাকিস্তান শিরোপা উদ্‌যাপনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তবে ভিডিওর অধিকাংশ দৃশ্য ভারতকেই দেখে গেছে। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ও শটই ছিল বেশি।

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক-কাগিসো রাবাদা, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, অস্ট্রেলিয়ার ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে গুঁড়িয়ে ট্রাভিস হেডের সেই সেঞ্চুরি উদ্‌যাপনও তুলে ধরা হয়েছে। আফগানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাকওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরি, বাবর আজমের দারুণ মুহূর্ত, মিচেল স্টার্ক-শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপ—অল্প সময়ের ভিডিওতে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো সর্বোচ্চ সংখ্যক এনেছে আইসিসি।

তবে ভিডিওতে বাংলাদেশ ছিল সামান্যই। ১ মিনিটের ৫ সেকেন্ডের সময় একটু দেখানো হয়, সেটিও জসপ্রীত বুমরার বলে কোনো ব্যাটারের বোল্ড হওয়ার দৃশ্যে। সেখানে বাংলাদেশ নয়, বরং বুমরাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রোহিত-বাবরের টস, মহেন্দ্র সিং ধোনির স্টাম্পিংসহ অনেক কিছু থাকলেও বাংলাদেশকে কমই দেখা গেছে। জো রুটের সেঞ্চুরি, মুজিব-উর রহমান-রশিদ খানদের স্পিন জাদুও ছিল বেশ। ভিডিওতে আফগানিস্তানের উপস্থিতিও ছিল নজরকাড়া। তবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক কোনো দৃশ্য ছিল না বললেই চলে।

আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় তাদেরও উপস্থিতি ছিল মোটামুটি। সম্প্রচার স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, রাজস্ব, দর্শক—সবকিছু বিবেচনায় হয়তো ভারতের উপস্থিতি বেশি রেখেছে আইসিসি।

ফিফা উইন্ডোর জন্য বাফুফের ‘গণ দাওয়াত’

গার্দিওলার ৩০ বছরের সংসার তাহলে ভেঙেই গেল

ভুল শুধরানোর সময় পাচ্ছেন রিয়ালের কোচ

সেকশন