শাসককুলের উৎসব-ভীতি
স্বভাবতই মানুষ নিঃসঙ্গ। অনুষ্ঠান, উৎসব, আড্ডা, মিলনসভার যেকোনো সুযোগই তাকে উৎফুল্ল করে তোলে, একটা প্রেরণার সৃষ্টি হয়, নতুন করে জীবনের একটা ছবি এসে ধরা দেয়। আমাদের দেশে সে জন্যই বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রাচ্য দেশজুড়েই।
৪৩তম বিসিএস প্রজ্ঞাপন
‘৪৩তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রথমবার গেজেটভুক্ত হই। ওই গেজেট বাতিল করে পুনরায় যখন গেজেট হলো, দেখি আমার নামটা নেই। কখনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত ছিলাম না। বরং আরেকটা সরকারি চাকরি করছি। কেন আমাকে গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হলো জবাব কে দেবে?’
প্রতিটি নতুন বছরের আগমনে প্রত্যাশা আর স্বপ্ন পূরণে আমরা উজ্জীবিত হয়ে উঠি। বাস্তবে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ আর হয় না, অধরাই থেকে যায়। স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নে নিক্ষিপ্ত হয়। এবারও যে তার ব্যতিক্রম ঘটবে না, সেটাও সার্বিক বিবেচনায় অনায়াসে বলা যায়। দেশের সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে তা স্বীকার করতেই হবে।
২০২৪ সালের ঘটনাগুলোর দিকে ফিরে তাকালে আমরা বলতে পারি যে এটি বড় ধরনের রূপান্তর, ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক স্থায়িত্বের ওপর সংজ্ঞায়িত একটি বছর ছিল। বছরটি বিজয় ও চ্যালেঞ্জের। বছরটি আমাদের বিশ্বের আন্তসংযোগ ও মানবতার মাপকাঠির ওঠানামার কথা মনে করিয়ে দেয়।
বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে অতিপরিচিত একটি শব্দ হলো চালশে। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা প্রায় সবাই শব্দটি প্রয়োগ করতে শুনেছি। কিন্তু এই চালশে আসলে কী? এটি কি কোনো রোগ? চল্লিশ বছর বয়সের সঙ্গে কি এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে?
একাত্তরের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় পালাবদলের বছর হলো ২০২৪। টানা প্রায় ১৬ বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে দেশ চালানোর পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে হয় টানা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী শেখ হাসিনাকে।
বিশ্বব্যাপী একধরনের পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকার সর্বত্রই পরিবর্তন ঘটছে। ক্ষমতার পালাবদলের নানামাত্রিক পরিবর্তন ঘটছে, কোথাও নিয়মতান্ত্রিক, কোথাও বিপ্লব-বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান, যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে।
ক্ষিতিশচন্দ্র ধরকে সাতচল্লিশের বাংলা ভাগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করেছিলাম। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলা ভাগ অনিবার্য ছিল। কেননা, অখণ্ড বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠরা ছিল মুসলমান। এতে হিন্দুরা মুসলমানদের দ্বারা পিষ্ট হতো।
২০২৪ সালটি চিহ্নিত হয়ে থাকবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। সেনা অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সরকারের পতন তো আরও কয়েকবার হয়েছে। মাঝে নব্বইয়ের ‘গণ-আন্দোলনে’ অবসান ঘটে সেনাশাসনের। তারপর আর সেনাশাসন না এলেও সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল।
ডিসেম্বর চলে যাচ্ছে। বছর শেষ হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে খেলাপি ঋণের হিসাবকিতাবও তৈরি হবে এই ডিসেম্বরেই। বছরে চারবার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়ে থাকে। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে। ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় (গ্রেস পিরিয়ড) পরও যদি ঋণটি পরিশোধিত না হয়, তাহলে ঋণটিকে খেলাপি হিসেবে..
প্রতিবছরের শুরুতে সারা দেশে বসে বইমেলা। রাজধানী ঢাকা শহরে ফেব্রুয়ারি মাসে হয় মাসব্যাপী বইমেলা। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেও এ সময়ে বইমেলার হিড়িক পড়ে। মেলা উপলক্ষে নির্ধারিত এলাকা অপূর্ব সাজে সেজে ওঠে।
ব্যাপক গৃহযুদ্ধের শিকার মিয়ানমার। সেখানে দুই ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছে। একটা হচ্ছে বিভিন্ন অ-বামার জাতিসত্তার সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বামারদের। বামাররা হচ্ছে মিয়ানমারের প্রধান জাতি। এই যুদ্ধের একদিকে আছে কারেন, কাচিন, শান, তাঙ, রাখাইন ইত্যাদি জাতিসত্তার গেরিলা দলগুলো এবং অপরদিকে আছে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয়
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের খাঁটি সোনা কবিতাটি অনেকেরই মনে আছে। কবিতাটিতে এ দেশের মাটিকে সোনার চেয়েও খাঁটি বলে তুলনা করা হয়েছে। কবিতাটিতে বলা হয়েছে: ‘মধুর চেয়ে আছে মধুর/সে এই আমার দেশের মাটি/আমার দেশের পথের ধূলা/খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।’ সোনার চেয়ে খাঁটি কোনো সোনা আছে কি না জানি না, হয়তো ক্যারেটের হিসা
আমাদের দুর্ভাগ্য যে রাজনীতির মাঠে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেখা যায় না। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির ফলে বিদ্যায়তনগুলোয় ছাত্র সংসদগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি, নির্বাচনও হয়নি বহুবার। ডাকসুসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না বহুদিন ধরে। এ কথা সবাই জানেন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্
ব্রিকস হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইংরেজি আদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত সংস্থার নাম। সম্প্রতি রাশিয়ার কাজানে ব্রিকসের সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। ব্রিকসের ১০ সদস্যদেশসহ মোট ৩৫টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলনে ব্রিকসের সদস্যদেশগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে ব্রি
বাসার কাছের সুপারশপে গত মাসে দুই বা তিন লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল খুঁজে না পেয়ে ম্যানেজারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাঁদের স্টোরে আছে কি না। নিয়মিত ক্রেতা হওয়ার সুবাদে সুপরিচিত ম্যানেজার জানালেন, সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই। দাম বাড়ানোর কারসাজির অংশ হিসেবে বড় কোম্পানিগুলো বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার বায়ুমান ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় দূষিত বাতাসের কারণে মানুষকে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাইরে বের হলে মাস্ক পরার কথা বলা হয়